মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, দোষী ব্যক্তিকে সনাক্ত করা, মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া, মামলার প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে বিচার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে এবং বিচারোত্তর সত্য উদ্ঘাটনে ডিএনএ ল্যাবরটরী ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ডিএনএ ল্যাবরেটরীকে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরীতে পরিণত করা হবে।
আজ বেইলী রোডে অবস্থিত জাতীয় মহিলা সংস্থার সম্মেলন কক্ষে ডিএনএ ল্যাবরেটরী ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ডিএনএ দিবস উদযাপন উপলক্ষে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন,১৯৮৬ সাল থেকে অপরাধ বিজ্ঞান ও অপরাধমূলক বিচার ব্যবস্থায় ডিএনএ প্রযুক্তি বা ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্ট একটি যুগান্তকারী সংযোজন। এটি বিচার ব্যবস্থাকে একটি নতুন যুগে উত্তরণ ঘটিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হত্যা বা ধর্ষণের মত সহিংস অপরাধ দমন, পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নির্ণয়,মৃত ব্যক্তির পরিচয় উদ্ধার, কিডনী দাতা- গ্রহিতার সম্পর্ক নির্ণয়, প্রবাসীদের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয়, নারী পাচার ও অবৈধ অভিবাসী প্রতিরোধে ডিএনএ পরীক্ষাসহ প্রবাসী শ্রমিকদের লাশ দেশে আনার ক্ষেত্রে ডিএনএ ডিএনএ ল্যাবরেটরী ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশব্যাপী এই সুবিধার ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে স্ক্রিনিং সুবিধা সম্পন্ন আটটি বিভাগীয় শহরে আটটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন হয়েছে যেখান থেকে স্ক্রিনিং করা আলামত পরবর্তী পরীক্ষার জন্য ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রফাইলিং ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ডিএনএ প্রযুক্তির বহুবিধ ব্যবহারের নিশ্চিত করা লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) আইন, ২০১৪ পাস করা হয় এবং ২০১৮ সালে ডিএনএ বিধিমালা, ২০১৮ পাস করা হয়েছে। আরো উল্লেখ্য যে ডিএনএ আইন ২০১৪ এর ২০ (১) ধারা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৯ আগষ্ট ২০২০ তারিখে ডিএনএ ল্যাবরেটরী ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়।
উক্ত সেমিনারে অন্যদের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর মহাপরিচালক আনজীর লিটন, ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.এ.এম.পারভেজ রহিম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.