পুলিশ কর্মকর্তার সেই সিরিয়াল ধর্ষক ভয়ংকর রাহমাতুর রাফসান অর্ণবকে গ্রেফতার করেছে দিনাজপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিনাজপুর আদালতের বাইরে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দিনাজপুর সদর থানায় দায়ের করা এক তরুণীর ধর্ষণের মামলায় অর্ণবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।
জানতে চাইলে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি ফরিদ হোসেন ইবাংলাকে বলেন, গ্রেফতারের পর রাফসানকে দিনাজপুর সদর থানা থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সেখান থেকে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন…পিতা পুলিশ ইন্সপেক্টর ছেলে ‘সিরিয়াল ধর্ষক’
ভয়ংকর এই সিরিয়াল ধর্ষক ও প্রতারক রাফসানের পুলিশ কর্মকর্তা পিতার নাম জাহিদুল ইসলাম একজন পুলিশ পরিদর্শক। বর্তমানে তিনি পুলিশের এন্টিটেররিজম ইউনিটে কর্মরত।
প্রসঙ্গত, গত ২ জুন বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘পুলিশ কর্মকর্তার গুণধর ছেলে সিরিয়াল ধর্ষক’ এবং ‘পিতা পুলিশ ইন্সপেক্টর ছেলে সিরিয়াল ধর্ষক’ শিরোনামে একাধিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর পুলিশের উচ্চপর্যায় থেকে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই মাঠে নামে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় অভিযান চালানো হয়।
রাফসানের প্রেমের ফাঁদে পড়ে অনেক মেয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এ তালিকায় উঠে আসা ভুক্তভোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। দামি ব্র্যান্ডের গাড়িতে ডিএমপির লোগো ব্যবহার করে চলাচল করতেন হিরো বনে যাওয়া এই ভিলেন। যার টার্গেটের শিকার ধনাঢ্য পরিবারের মেয়েরা। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ছাড়াও নানা কৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
রাহমাতুর রাফসান অর্ণব। ভয়ংকর এক চরিত্রের নাম। বয়স ত্রিশের কাছাকাছি। যার পিতা পুলিশ ইন্সপেক্টর। নাম জাহিদুল ইসলাম। বর্তমান কর্মস্থল পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটে।
ভুক্তভোগী তরুণীদের কয়েকজন অর্ণবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন দিনাজপুরে। মাথার ওপর গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে হিরোগিরী করেই চলতেন প্রকাশ্যে। কিন্তু কিসের মামলা আর গ্রেফতারি পরোয়ানা। পুলিশপুত্র বলে কথা। কোনো কিছু কেয়ার করতেন না অর্ণব। তাই প্রকাশ্যে ঘুরতেন বুক ফুলিয়ে।
গত এক মাস যাবত ভুক্তভোগীদের কয়েকজনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। বেরিয়ে আসা ভয়াবহ এসব চাঞ্চল্যকর তথ্যের ভিত্তিতেই অর্ণবকে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
ইবাংলা/ বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.