ইসরায়েলে ফের রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘ইসলামিক জিহাদ’ দখলদার ইসরায়েলী বাহিনীর ভূখণ্ড লক্ষ করে ফের মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালিয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (১ জুলাই) স্থানীয় সময় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে দফায় দফায় ওই রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, গাজা থেকে ইসরায়েলি বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ২০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই রকেট হামলায় হতাহতের কোনো ঘটনা স্বীকার করেনি আইডিএফ। তবে হামলার মাধ্যমে গোষ্ঠীটি ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পরও ইসরায়েলে হামলা চালাতে সক্ষম, সেটি ফুটে উঠেছে।

আরও পড়ুন…আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত ইসরায়েলি হামলায়

এদিকে, ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শত্রুর অপরাধের প্রতিক্রিয়ায় গাজা সীমান্ত লাগোয়া ইসরায়েলি কয়েকটি সম্প্রদায়ের দিকে রকেট নিক্ষেপ করেছে তাদের যোদ্ধারা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি বসতির বাসিন্দারা বলেছেন, তারা ইসরায়েলি ফোন নম্বরগুলো থেকে বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ সংক্রান্ত কিছু ক্ষুদেবার্তা পেয়েছেন।

কেউ কেউ বলেছেন, এর অর্থ হতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকায় ফিরে আসবে। কারণ কয়েক সপ্তাহ আগে এলাকাটি ছেড়ে চলে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যদিও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

এদিকে, সোমবার ইসরায়েলি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সোমবার তুলকারম শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এক নারী ও এক শিশু নিহত হয়েছে। একই এলাকায় একদিন আগে ইসরায়েলি হামলায় ইসলামিক জিহাদের এক সদস্য নিহত হন।

গাজার কিছু এলাকা থেকে উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সদস্যরা ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কয়েক মাস আগে এসব এলাকা ত্যাগ করেছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৮৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৮৭ হাজার ছুঁই ছুঁই। ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ‘অসহনীয়’ দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন গাজার বাসিন্দারা।

ইবাংলা/ বা এ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us