কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারনে পার্বত্য রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঝূঁকিতে রয়েছে অন্তত ২০ হাজার মানুষ। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের নাগরিকদের রক্ষায় ইতোমধ্যেই রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পাহাড় ধসের ঝূকিতে থাকা নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে রাঙামাটি সদরসহ উপজেলাগুলোতে ধারাবাহিক মাইকিং চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন…ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রাতেই যেসব জায়গায়
স্থানীয় মানুষজনদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং আশ্রয়নে রাঙামাটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ২৯টি সহ রাঙামাটি জেলায় সর্বমোট ২৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসসহ যাবতীয় ক্ষতি এড়াতে পাহাড়ের ঢালে বসবাসরতদের মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, রাঙামাটিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ৫ হাজার পরিবারের প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করছে।
এর আগে রোববার বিকেলে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় ৩০ জুন বিকেল ৪টা থেকে চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ফলে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধ্বসেরও শঙ্কার কথা জানিয়েছে তারা। ভারী বর্ষণ শুরু হলে ভূমিধসের ঝুঁকি এড়াতে পাহাড়ের ঢালে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়া অথবা।
আরও পড়ুন…দেশের সব জেলা সদরে বিএনপির সমাবেশ
আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে রাঙামাটি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.