স্বৈরাচারী সরকারকে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত করার পরপরই কিছু কিছু অতি উৎসাহী নেতাকর্মী দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, সরকারী-বেসরকারী অফিসসহ ঠিকাদারকে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকি প্রদানসহ চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে।
রাঙামাটির কাউখালীতে এই ধরনের দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় দু’জনকে বহিস্কারের পর আজ পহেলা সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে কাপ্তাই উপজেলা বিএনপির আরো এক নেতাকে বহিস্কার করলো রাঙামাটি জেলা বিএনপি।
জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দিপু ও এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন স্বাক্ষরিত বহিস্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, কাপ্তাই উপজেলা বি.এন.পি’র সদস্য মোঃ নুরুল আলম কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করে ও দলীয় পদ পরিচয় ব্যাবহার করে নিজ স্বার্থে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বিভিন্ন ব্যাবসায়ী ও জনগনকে চাঁদার জন্য হুমকী প্রদানসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।
এরুপ অপকর্ম হতে বিরত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাঙামাটি জেলা বি.এন.পি’র পক্ষ হতে দলের সকল নেতাকর্মীকে বারংবার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আপনি দলের সকল নির্দেশনা অমান্য করে এ সকল সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
আপনার এ সকল কর্মকান্ড দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃংখলা বিরোধী হওয়ায় দলের গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারা মোতাবেক আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বি.এন.পি’র প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলের সকল পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান পূর্বক বহিস্কার করা হলো।
এই সিদ্ধান্ত অদ্য তারিখ হতে কার্যকর হইবে বলেও উল্লেখ করা হয় বহিস্কারাদেশ পত্রে।
উপরোক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমরা কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সহ্য করবো না। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা রয়েছে।
এখন থেকে যে কারো বিরুদ্ধেই কোনো অভিযোগ পাওয়া যাবে তাকে কোনো প্রকার কারণ দর্শানো ছাড়াই সরাসরি দলের প্রাথমিক সদস্য বাতিল করে বহিস্কার করা হবে বলেও প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছে রাঙামাটি জেলা বিএনপি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.