কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধিতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সেকেন্ডে ছাড়ছে ৭৯ হাজার কিউসেক পানি
আলমগীর মানিক,রাঙামাটি
ভারতের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসা পানিতে সয়লাব কাপ্তাই হ্রদ। প্রতিদিনই রাঙামাটির নিন্মাঞ্চলের পানিতে বন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধিতে রাঙামাটির অন্তত সোয়ালাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দূর্ভোগে পড়েছে।
জেলার ১৫ হাজারের মতো কৃষক তাদের কৃষিজ জমির ফসল নষ্ট হয়ে সম্পূর্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্র নিশ্চিত করেছে। কাপ্তাই হ্রদে তীব্রতর অবস্থায় পানি বৃদ্ধিতে বর্তমানে জলবিদ্যুত কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ প্রতি সেকেন্ডে ৭৯ হাজার কিউসেক পানি অবমুক্ত করে কর্ণফূলী নদীতে ফেলছে।
কর্ণফুলী পানি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের, সোমবার দুপুর থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (কপাবিকে) ১৬টি জলকপাট ৪ ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে কাপ্তাই লেক হতে প্রতি সেকেন্ডে ৭৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে আছড়ে পড়ছে।
এর আগে সকাল ১১ টা পর্যন্ত পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীলওয়ে এর ১৬টি গেইট দিয়ে ৪২ ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হচ্ছিল। উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহূর্তে মুহূর্তে কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধির ফলে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে পিডিবি ম্যানেজার জানান।
প্রয়োজনের চেয়ে পানি অতিরিক্ত হওয়ার ফলে রাঙামাটির নিন্মাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে মন্তব্য করে জনাব এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন আমরা বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর দুপুর থেকে পানি সেকেন্ডে ৭৯ হাজার কিউসেক করে ছেড়েছি।
কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকে ১০৮.৭২ ফুট মিনস সী লেভেল পানি রয়েছে।
লেকে পর্যাপ্ত পানি থাকায় বর্তমানে কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে দৈনিক ৫টি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.