প্রশাসকের নগদের সাবেক এমডি মিশুকের বিরুদ্ধে জিডি

মিশুক এর আগে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।

নগদের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর এ মিশুকের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে জিডি করেছেন মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানিটির প্রশাসক বদিউজ্জামান দিদার।

গত ৫ সেপ্টেম্বর এ জিডি করা হয় বলে জানিয়েছেন বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার।

জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আলী সৈকত বলেন, জিডিতে বদিউজ্জামান দিদার অভিযোগে করেছেন, ৪ সেপ্টেম্বর নগদের সাবেক সিইও তানভীর মিশুক হোয়াসটঅ্যাপের মাধ্যমে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন। ওই খুদে বার্তার বক্তব্যে ‘হুমকিবোধ’ করছেন দিদার।

“জিডির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ২১ আগস্ট নগদের আগের পর্ষদ ভেঙে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক বদিউজ্জামান দিদারকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাকে সহায়তার জন্য নগদ ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে আরও ছয় কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এর পরদিন তানভীর এ মিশুক এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। নগদকে জড়িয়ে সম্প্রতি যে অপপ্রচার শুরু হয়েছিল, প্রশাসক নিয়োগের মধ্য দিয়ে তার অবসান হবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

 

আরো পড়ুন ঃশিখা বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুখপাত্র

 

জিডির অভিযোগের বিষয়ে তানভীর এ মিশুকের বক্তব্য জানতে পারেনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

তবে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৩৬ মিনিটে নিজের ফেইসবুকে পেইজে তিনি লিখেন, “বদিউজ্জামান দিদার দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি তাকে শুধু বলেছিলাম পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে। কারণ তিনি দায়িত্ব নিয়েই ১৬/১৭ জন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছেন। চাকরিচ্যুতরা তো আদালতে যেতে পারে।

“আমি শুধু বলেছিলাম দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় একটু সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। এটাকে তিনি হুমকি হিসেবে নিয়ে জিডি করেছেন।”

ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর যাত্রা ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ২৮ মে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় নগদকে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এর আগে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের ৮ অগাস্ট নগদ ও কড়িকে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার নীতিগত অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us