রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় ’ছিনতাইকারীর’ ছুরিকাঘাতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর প্রাণহানি ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নিহত ২৭ বছরের মুনতাকিম আলিফ নিকুঞ্জ এলাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে খণ্ডকালীন একটা চাকরি করতেন। স্নাতক শেষ করার আগেই গত ১০ মাস ধরে ওই কোম্পানিতে খণ্ডকালীন চাকরি শুরু করেছিলেন।
আরও পড়ুন…সন্ত্রাসী হামলায় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম নিহত
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, নিকুঞ্জ ১ এলাকায় যে কোম্পানিতে আলিফ কাজ করতেন সেটি ইউরোপ-আমেরিকার গ্রাহকদের সেবা দেয়। যে কারণে তাদের অফিস সময় রাতে ছিল। গত রাতের পালার কাজ শেষে (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাসায় যাওয়ার জন্য আরেক সহকর্মীর সঙ্গে বের হন আলিফ। তারা নিকুঞ্জ ১ থেকে ফ্লাইওভারের কাছে যাওয়ার পর ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। তিনজনের মতো ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে।
পুলিশ আরও বলেন, আলিফ প্রতিরোধ করতে গেলে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে টানাহেঁচড়া হয়। এক পর্যায়ে আলিফের বুকে ছুরি মারে ছিনতাইকারীরা। পরে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান তিনি। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। দুপুরের দিকে তার লাশ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিহতের ফুফাতো ভাই গোলাম কিবরিয়া বলেন, আপাতত আমরা জেনেছি যে একজন নারী কলিগসহ সে অফিস থেকে বাসায় ফেরার জন্য বের হয়েছিল। নিকুঞ্জ ফ্লাইওভারের ওখানে এলে তারা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তবে তার নারী কলিগ অক্ষত রয়েছেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের শিক্ষার্থী আলিফ কাওলা এলাকায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে। তার বাবা জুলফিকার আলী ঠাকুরগাঁও জজকোর্টের পেশকার।
ইবাংলা/ বা এইচ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.