বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আমরা সময় দিচ্ছি, তবে তা অনির্দিষ্ট নয়। সময় সীমাহীন নয়, যতদিন যুক্তিসঙ্গতভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে, ততদিনই আমরা অপেক্ষা করবো। আমরা কোনোভাবেই রাজনীতির অঙ্গন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার (বিরাজনীতিকরণ) চেষ্টা, মাইনাস টু ফর্মুলা কিংবা জঙ্গিবাদের উত্থান দেখতে চাই না। আমাদের লক্ষ্য উদার গণতন্ত্রের বিকাশ।
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে একটি শিক্ষক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশের পরিবর্তন বহু মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। যদিও সাময়িক বিজয় হয়েছে, তবে সেটি ধরে রাখতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সুসংহত হতে হবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিতে অনেকেই নতুনভাবে দলের মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠছেন, নিজেদের দাবি নিয়ে আসছেন। অতীতে অনেকেই নিজেদের সম্পত্তি বিক্রি করে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে চাকরির জন্য অর্থ দিয়েছেন। যদি আমরা দেশকে প্রকৃতপক্ষে পরিবর্তন করতে না পারি, তাহলে জাতি হতাশার গভীরে ডুবে যাবে।
দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি যেন ক্ষমতায় এসেছে এমন ভুল ধারণায় ভেসে না যায়। এখনো আমরা ক্ষমতায় আসিনি, তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও দেশের সবচেয়ে দুর্বল খাত হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা। যেই দলটি নিজেদের গণতন্ত্রের রক্ষক হিসেবে দাবি করেছিল, তারাই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বর্তমান সরকার বৈষম্যের বিশাল প্রাচীর গড়ে তুলেছে। বিএনপি তাদের ৩১ দফা প্রস্তাবে সব সমস্যা এবং সমাধানের দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, যদি দুর্নীতির ভয়াল ছায়া দূর না করা যায়, তবে কোনো কিছুই সম্ভব হবে না। আমরা ব্যর্থ হইনি, আগেও জয়ী হয়েছিলাম, এবারও জয়ী হবো। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
ইবাংলা/রাজিব
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.