সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনসহ ১১ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। তবে পিএসসির ১৪ সদস্যের মধ্যে এখনো তিনজন পদত্যাগপত্র জমা দেননি।
মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) বিকেলে তারা পিএসসির সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে কালবেলাকে জানিয়েছেন পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান।
পদত্যাগ করা সদস্যরা হলেন- সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সাবেক অধ্যাপক উত্তম কুমার সাহা, সাবেক নির্বাহী পরিচালক জাহিদুর রশিদ, অধ্যাপক মুবিনা খন্দকার, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম, সাবেক সচিব খলিলুর রহমান, মাউশির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মাকছুদুর রহমান, সাবেক সচিব নাজমানারা খাতুন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।
তবে তিনজন সদস্য এখনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি। তারা হলেন- সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সাবেক সচিব ও এন সিদ্দিকা খানম ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম।
চলতি সপ্তাহে পিএসসি সংস্কার দাবি করে চাকরির পরীক্ষাগুলো শুরুর দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ দাবি করেন, এই সপ্তাহের মধ্যে পিএসসি সংস্কার করে চাকরি প্রত্যাশীদের জব এক্সামগুলো শুরু করতে হবে। যে তরুণ প্রজন্ম এই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক তাদের প্রায়োরিটির কথা ভুলে গেলে চলবে না।
পিএসসি মূলত বিভিন্ন সরকারি চাকুরি ও পদে নিয়োগে লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি সাংবিধানিক সংস্থা। সংস্থাটি সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি, পদায়ন, বদলি, শৃঙ্খলা ও আপিলের মতো বিষয়ের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গেও জড়িত।
ই-বাংলাঃ স / হা
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.