ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।বুধবার (০৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বেলগাছের নিচে ঘট স্থাপন করে ষোড়শ উপাচারে ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভে ষষ্ঠী পূজা শুরু হয়।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের উপদেষ্টা পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী জানান, সংকল্প ও আরম্ভ এ দুই মিলিয়ে হয় ‘কল্পারম্ভ’। এর মাধ্যমে দেবীর কাছে প্রতিজ্ঞা করা হয়, সমস্ত নিয়ম মেনেই তার পূজার্চনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সপ্তমী, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) অষ্টমী আর শনিবার (১২ অক্টোবর) হবে মহানবমীর পূজা। পঞ্জিকা মতে, এবার মহানবমী পূজার পরই দশমী বিহিত পূজা হবে। এবার দেশের ৩১ হাজার ৪৬১টি মন্দির ও মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে। পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে এর ফল হয় মড়ক। খাদ্যশস্যে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হবে ও রোগব্যাধি বাড়বে। এ ছাড়া দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্র মতে দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল হয় ছত্রভঙ্গ। এটা সামাজিক ও রাজনৈতিক এলোমেলো অবস্থাকে ইঙ্গিত করে।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে দেবীপক্ষ ও শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নের শুরু হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.