উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী সড়ক বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার। এরপর সীমান্তে দক্ষিণ কোরিয়া গুলি চালালে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিবিসির প্রতিবেদনে এসব জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ফুটেজে উত্তর কোরিয়ার শত্রুতামূলক কার্যকলাপ দেখা গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কিম জং উনের সেনাবাহিনী দুই দেশকে সংযোগকারী সীমান্ত সড়কে বিস্ফোরক স্থাপন করছে। এরপর সেটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মুহূর্তে সড়কটি ধসিয়ে দেওয়া হয়। এতে বন্ধ রয়েছে স্থল যোগাযোগ।
পিয়ংইয়ং গত সপ্তাহেই স্থল যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের হুমকি দিয়েছিল। তখন বলেছিল, দুই দেশকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেবে তারা। আন্ত-কোরিয়ান সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে দেখা সড়ক ও রেলপথ কেটে দেওয়ার হুংকার ছিল পিয়ংইয়ংয়ের।
কোরিয়ান পিপলস আর্মি (কেপিএ) এই পদক্ষেপকে যুদ্ধ প্রতিরোধের জন্য একটি আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বর্ণনা করেছে। দাবি করেছে, এটি দক্ষিণ কোরিয়ায় যুদ্ধ অনুশীলন এবং এই অঞ্চলে আমেরিকান পারমাণবিক অস্ত্রের ঘন ঘন উপস্থিতির প্রতিক্রিয়া ছিল।
এটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘শত্রুতা বৃদ্ধির’ ভয়ংকর আচরণ বলে চিহ্নিত করে উদ্বিগ্ন বিশ্লেষকরা।
এদিকে বিস্ফোরণের পর দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী সীমান্তের ওপারে গুলি ছুড়ে। কিন্তু এতে কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি স্বীকার করে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বিবৃতি দিয়ে বলেছে, উত্তর কোরিয়ার বাড়াবাড়ির জবাবে সিউলের সামরিক বাহিনী শক্তি প্রদর্শনে মিলিটারি ডিমার্কেশন লাইনের (এমডিএল) দক্ষিণ এলাকায় গুলি চালিয়েছে। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো বেআইনি পদক্ষেপ মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া প্রস্তুত বলেও জানানো হয়।
ইবাংলা/ আআইএন
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.