গাজা ভূখণ্ডকে জনশূন্য করে দখলের পরিকল্পনা নিয়ে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা প্রধান ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইসরায়েলের সামরিক তৎপরতায় মার্কিন প্রশাসনের সরবরাহকৃত অস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে, যা এই সংঘাতকে আরও তীব্রতর করে তুলেছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান নিয়েমনাহের এক আলোচনা আল জাজিরায় প্রকাশ হয়।
হাসান নিয়েমনাহ বলেন, মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ এবং সামরিক সহায়তা ইসরায়েলের চলমান কার্যক্রমকে আরও জোরদার করেছে। শুধু অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন নয়; বরং এ সহযোগিতা ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ডের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত সমর্থনের প্রতিফলনও বটে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) গত কয়েকদিন ধরে উত্তর গাজায় নতুন করে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে। এমন কী, এ হামলা থেকে বাঁচার জন্য গাজাবাসীরা পালাতে গেলে তাদেরও ওপরও হামলা চালাতে দ্বিধা করছে না আইডিএফ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ইসরায়েল গায়ের জোরে ফিলিস্তিনিদের বিদায় করে তাদের ভূখণ্ড দখলের লক্ষ্যে আগাচ্ছে।
মার্কিন প্রশাসনের সায় না থাকলে ইসরায়েল এতটা আগ্রাসী হতে পারত না উল্লেখ করে এ বিশ্লেষক বলেন, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্রের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নীরবতা এবং অস্ত্র সরবরাহ কার্যত ইসরায়েলের এ অভিযানকে সমর্থন করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজা ভূখণ্ডকে দখলের এ পরিকল্পনা সুপরিকল্পিত এবং দীর্ঘমেয়াদি সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মার্কিন সহযোগিতায় ইসরায়েলের সামরিক তৎপরতা গাজার সংকটকে আরও গভীরতর করছে, যা পুরো অঞ্চলে ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.