ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। বুধবার (২৩ অক্টেবার) ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর আসে।
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, সোমবার পুনে জেলার রঞ্জনগাঁও এলাকা থেকে ২১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মঙ্গলবার এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ, চারজন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের দুজজন রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই রঞ্জনগাঁও এমআইডিসি-র কারেগাঁও এলাকায় নির্মাণ স্থাপনায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
দ্য স্টেটসম্যানের প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবার রাজস্থানের ভাখরোতা এলাকা থেকে ১২ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশ। দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগের রাজস্থান পুলিশ ওই বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের বয়স কম হওয়ায় তাদের শিশু হোমে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বুধবার ত্রিপুরার গোমতি জেলার উদয়পুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ত্রিপুরা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশিদের সহায়তা করার অভিযোগে ভারতীয় এক দালালকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ সকালে আমরা চার বাংলাদেশি নাগরিক ও একজন ভারতীয় দালালকে গ্রেপ্তার করেছি। ওড়িশার বাসিন্দা খোকন দেবনাথ নামের ওই দালাল বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমে সহায়তা করেছেন। আমরা তাদের উদয়পুর রেলওয়ে স্টেশনে আটক করেছি। এ সময় তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি ৭ হাজার ১৮৬ টাকা ও ভারতীয় ৪৪ হাজার রুপি জব্দ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় নাগরিক আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, এসব শুধুমাত্র রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রমান এবং প্রতিপক্ষকে হুশিয়ারি দেয়ার জন্যই করা। বাংলাদেশে আয় সহজ এবং মজুরি বেশি হওয়া ষত্বেও কেন বাংলাদেশি শ্রমিক ভারতে আসবে। এরা তো পলাতক হাসিনার সঙ্গিও নয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.