দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
বিমান বাহিনী সদর দপ্তরে রোববার (২৭ অক্টোবর) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন, কমান্ডার ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এবং বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন, উইং কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লীডার পদবির যোগ্য কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।
পদোন্নতি পর্ষদের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সৃষ্ট বাংলাদেশে সকলকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহিদকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি আরও স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহিদসহ সকল বীর সেনানীদের যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলি, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার উপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়া সৎ, নীতিবান এবং নেতৃত্বের অনন্য গুণাবলি সম্পন্ন অফিসারগণই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাছাড়া যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকা-ে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সেই সকল অফিসারদেরকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধান প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
‘নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর উপস্থিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোকচিত্রে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে তার মূল্যবান মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিমান বাহিনী সদর দপ্তর প্রাঙ্গনে একটি ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করেন।
ইবাংলা/ আএইচ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.