চলতি বছর কপের ২৯তম সম্মেলন ২২ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জলবায়ু তহবিলে অর্থায়নের বিষয়ে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় একদিন সময় বাড়ানো হয়।
এরপর দীর্ঘ দর-কষাকষির পর জলবায়ু সংকটের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিতে একমত হন প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে এ অর্থায়নের বিষয়ে একমত হয়েছেন কপের সদস্য দেশগুলো। খবর বিবিসি
চূড়ান্ত চুক্তি অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল পর্যন্ত দরিদ্র দেশগুলোকে প্রতিবছর অন্তত ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেবে ধনী দেশগুলো। জলবায়ু তহবিলে জমা দেওয়া এই অর্থ দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনীতিকে আরও পরিবেশবান্ধব করতে এবং দেশগুলোয় জলবায়ু সংকটের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় খরচ করা হবে।
এর আগে, গত ২২ নভেম্বর খসড়া চুক্তিতে বছরে ২৫০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই প্রস্তাব নাকচ করে দেয় দরিদ্র দেশগুলো।
বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর দাবি ছিল, তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পোষাতে বছরে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৩০ হাজার কোটি) ডলার দিতে হবে।
উল্লেখ্য, কনফারেন্স অব দ্য পার্টিসের সংক্ষিপ্ত রূপ কপ। এটি বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত বিপর্যয় মোকাবিলায় জাতিসংঘের একটি উদ্যোগ। ১৯৯৫ সালে প্রথম কপ সম্মেলন হয়। ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত ধরিত্রী সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুটি প্রথমবারের মতো সামনে আসে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.