ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমির শায়েখে চরমনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ বিশ্বাস করে কোন দেশের দল কিংবা নেতা পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের শান্তি আসতে পারে না। বারবার এমন পরিবর্তন ঘটেছে।
আমরা ভেবেছিলাম পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারলে আমরা বৈষম্য থেকে মুক্তি আর শান্তি পাবো। কিন্তু কি দেখলাম, ১৯৭১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এই ৫৩ বছর যারা দেশ শাসন করেছে তারা কেউই বৈষম্য দূর করতে পারেনি, মানুষকে শান্তি দিতেও পারেনি, মানুষকে মুক্তি দিতেও পারেনি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সুজাপুর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ফুলবাড়ী উপজেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিহত গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, রংপুর মহানগর শাখার সেক্রেটারী মো. আমিরুল ইসলাম পিয়াল, দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা সভাপতি ডা. নূর আলম সিদ্দিক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শায়েখে চরমনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম আরও বলেন, আবারও আমরা ২০২৪ সালে ৫ আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। ছাত্রজনতা ঐক্য হয়ে মানুষের মুক্তির জন্য, শান্তির জন্য বৈষম্য দূর করার জন্য আন্দোলন সংগ্রামে রক্ত জীবন বিসর্জন দিয়ে ফ্যাসিষ্ট সরকারকে হটিয়েছিলাম।
জীবনের মায়া ত্যাগ করে বৈষম্য দূর করার জন্য আমরা ঝাপিয়ে পড়েছিলাম, দুর্নীতি দূর করার জন্য, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা কি দেখলাম, ৫ আগস্টের পরে আবারও সেই বৈষম্য, আবারও জুলুম, অত্যাচার আবারও অবিচার, আবারও দুর্নীতি, আরও চাঁদাবাজী, আবারও হত্যা, ধর্ষণ, খুন। এরজন্য আমরা আন্দোলন করিনি। এরজন্য রক্ত দেইনি। এরজন্য এতগুলো মানুষ শহিদ হয়নি।
এতেদিন চাঁদা কালেকশন করেছে লেন্টু, এখন চাঁদা কালেকশ করে ফেন্টু, এতেদিন চুরি করছে লন্টু, এখন চুরি করে কেল্টু। শুধু হাতের পরিবর্তন হয়েছে ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে, চাঁদার পরিবর্তন হয়নি। হাজারও শাসকের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ইবাংলা বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.