কাজাখস্তানে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। পাখির সাথে সংঘর্ষের জেরে ল্যান্ডিং গিয়ারে গোলোযোগ তৈরি হয়ে এ দুর্ঘটনা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন…আজারবাইজানের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত:,,,ক্ষমা চাইলেন পুতিন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত জানিয়েছে ১৮১ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় দুজন বাদে বিমানের সকল আরোহী নিহত হয়েছেন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রোববার সকালে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে যায় বিমানটি। এরপরই ভয়াবহ আগুন ধরে যায় সেটিতে। দ্রুত আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
১৭৫ যাত্রী ও ৬ জন ক্রু নিয়ে থাইল্যান্ড থেকে ফিরছিলো জেজু এয়ারের বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন উড়োজাহাজটি। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখনও উদ্ধারকাজ চলছে; ১৮১ জনের মধ্যে দু’জনকে জীবিত বের করা হয়েছে।
বিমানটি বিধ্বস্ত হলে অন্তত ২৯ জনের প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি ১৭৫ জন আরোহী এবং ছয়জন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট নিয়ে থাইল্যান্ড থেকে ফিরছিলেন।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান শহরের একটি বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছেন বলে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে।
স্থানীয় ফায়ার ডিপার্টমেন্টের একজন রেসপন্স টিম অফিসার লি হিওন-জি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ২৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছি। তবে গুরুতর আহতদের কারণে সংখ্যা বাড়তে পারে”।
স্থানীয় গণমাধ্যমের শেয়ার করা বেশ কিছু ছবিতে দুর্ঘটনাকবলিত বিমান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। এদিকে মুয়ান শহরে বিমান দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু “উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার” নির্দেশ দিয়েছেন বলে ইয়োনহাপ জানিয়েছে।
ইবাংলা/ বা এ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.