যুক্তরাজ্যে আইন ভঙ্গের দায়ে শাস্তির মুখোমুখি টিউলিপ সিদ্দিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দীর্ঘসময় ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি সেদেশের পার্লামেন্টে লেবার পার্টির একজন সদস্য ও বর্তমানে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে এবার আইন ভঙ্গের দায়ে শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তিনি। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের।

Islami Bank

খবরে বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের মালিকানাধীন একটি বাড়ির এনার্জি পারফরম্যান্স সার্টিফিকেট না থাকায় আইন ভঙ্গ হয়েছে। ফলে ন্যূনতম ১০ হাজার পাউন্ড জরিমানার মুখে পড়তে পারেন তিনি।

প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের শুরুতেও একটি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। মূলত একটি সম্পত্তি থেকে ভাড়া বাবদ আয় এক বছরের বেশি সময় অপ্রদর্শিত রাখার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। তবে আদালত তার ব্যাখ্যাও গ্রহণ করেছিল, এটি একটি ‘প্রশাসনিক ত্রুটি’ ছিল। তবে এবার বাড়ির এনার্জি পারফরম্যান্স সার্টিফিকেট (ইপিসি) নিয়ে জটিলতায় পড়েছেন তিনি।

মেইল অন সানডে জানতে পেরেছে, টিউলিপ সিদ্দিক ও তার স্বামী ২০১৮ সালে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ইউরো দিয়ে লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট কেনেন। বাড়িটি একটি সংস্থার মাধ্যমে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। তবে ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী ভাড়া দেওয়া সম্পত্তির যে ‘এনার্জি পারফরম্যান্স সার্টিফিকেট’ থাকে তা টিউলিপ সিদ্দিকের ওই ফ্লাটের নেই।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি বাড়িওয়ালা হিসেবে আইনি বাধ্যবাধকতা বজায় রেখেছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি কোনো এনার্জি পারফরম্যান্স সার্টিফিকেট (ইপিসি) দেখাতে পারেননি। সেখানে আরও বলা হয়েছে, যেসব বাড়িওয়ালা ‘এনার্জি পারফরম্যান্স সার্টিফিকেট’ প্রবিধানগুলো তিন মাসের বেশি সময় ধরে মেনে চলেন না, তাদের ন্যূনতম ১০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা যেতে পারে।

one pherma

শ্রমমন্ত্রী হিসেবে ব্রিটিশ আর্থিক পরিষেবা নীতি, সংস্কার এবং নিয়ন্ত্রণ করা টিউলিপের নামে আগেও সংসদীয় নজরদারি সংস্থা তদন্ত করেছিল। তখন ডেইলি মেইল প্রকাশ করেছিল, টিউলিপ প্রায় ১৪ মাস ধরে ফ্ল্যাটে ১০ হাজার পাউন্ডের বেশি ভাড়া আয় সঠিকভাবে দেখাতে ব্যর্থ হন।

পৃথকভাবে তিনি বর্তমানে একটি বৃহৎ দুর্নীতির তদন্তে জড়িত রয়েছেন। তিনি এবং তার পরিবারের চার সদস্য বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৪০০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগে তদন্তের মুখে আছেন।

এরই মধ্যে ক্যাবিনেট অফিসের প্রোপ্রাইটি অ্যান্ড এথিকস টিম টিউলিপের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। যদিও তিনি এটি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

ইবাংলা/ বা এ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us