চীনা রাষ্ট্রদূত ও এবি পার্টি নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. ইয়াও ওয়েন এর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির নেতৃবৃন্দ। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে চায়না দূতাবাসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Islami Bank

মতবিনিময়কালে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর সঙ্গে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এবি পার্টির উইমেন ইনচার্জ ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, দলের ছায়া সরকার বিষয়ক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মো. প্রিন্স আল-আমিন প্রমুখ। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের পরিচালক ঝাং জিংও।

এবি পার্টি প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রদূত ইয়াওকে ২০২০ সালে এবি পার্টির গঠন, সংগঠন কাঠামো এবং সারা দেশে দলের বিস্তৃতি সম্পর্কে অবহিত করে। একইসঙ্গে আলোচনায় বিগত বছরগুলোতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন এবং বিশেষ করে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে দলের ভূমিকার বিষয়গুলোও আলোচনায় স্থান পায়। এ সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ এবং অবদানের জন্য এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ চীন সরকারের প্রশংসা করেন।

one pherma

নেতৃবৃন্দ মনে করে যে, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য চীন সরকারের আরও সহযোগিতার সুযোগ এবং সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রম ব্যয় বৃদ্ধির কারণে চীনা কোম্পানিগুলো তাদের বিনিয়োগ অন্য দেশে স্থানান্তরিত করার বিষয়টিতে উদ্বেগ জানিয়ে এবি পার্টি চীনা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ স্থানান্তর করতে উৎসাহিত করার অনুরোধ জানায়।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও মন্তব্য করেন যে, চীন-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ২০২৫ সালে তার পঞ্চাশ বছর উদযাপন করবে। এবি পার্টি মনে করে যে সত্তরের দশকের শেষের দিক থেকে এক বিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেওয়ার ঐতিহাসিক অর্জনে চীনের ভূমিকা থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। বাংলাদেশের পর্যটন খাতে চীনা কোম্পানিগুলো যেন বিনিয়োগ বাড়াতে পারে এবং এখানে আরও ব্যবসার বিকাশ করতে পারে সেজন্য নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রদূতকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us