রাবি-প্রবিতে ভিসি নিয়োগের দাবিতে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি

দীর্ঘ ৫ মাসেও পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ না হওয়ায় চলমান শিক্ষা কার্যক্রমে অস্থিরতা কাটাতে অবিলম্বে ভিসি নিয়োগের দাবিতে সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

Islami Bank

আরও পড়ুন…শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসময় উই ওয়ান্ট ভিসি এই শ্লোগান দিয়ে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে বনরূপা পেট্রোল পাম্প এর সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিবহনের বাস সড়কের উপর রেখে বিক্ষোভ করা শুরু করে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আকস্মিক এই আন্দোলনে পুরো রাঙামাটি শহরে তীব্র যানজটের পাশাপাশি দূর্ভোগময় পরিস্থিতিতে পড়ে নাগরিকরা। উদ্ভূদ পরিস্থিতিতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুহুল আমিন ও রাঙামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এসপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মারূফ আহামেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্ঠা চালান। এতেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে আসলে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্ঠার দপ্তরের সাথে কথা বলেন তারা।

এক পর্যায়ে রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপুর নেতৃত্বে বিএনপির একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এসময় তারা সকলেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে আগামী বুধবারের মধ্যে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগের আশ^াস প্রদান করা হয়।

one pherma

এসময় রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপু শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে আমি তোমাদেরকে আশ^স্থ করছি বুধবারের মধ্যেই ভিসি নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে অন্যথায় আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরো রাঙামাটি জেলায় অবরোধ কর্মসূচী পালন করবো আমরা। জেলা বিএনপির সভাপতির এমন আশ^াসে শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ কর্মসূচী তুলে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে তাদের আন্দোলন বুধবার পর্যন্ত স্থগিতের ঘোষণা দেয়।

এরআগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ১৮ই আগষ্টের পর সেসময়ের ভিসি পদত্যাগ করার পর দীর্ঘসময় ধরে ভিসি না থাকায় রাবিপ্রবি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। ভিসি নিয়োগের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘসময় ভিসি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। এতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম, প্রশাসনিক কার্যক্রম ও শিক্ষক নিয়োগসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হলেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নেই। সরকার আমাদের নিয়ে কোনো চিন্তাই করছে না। তাই আমরা সবাই বনরূপায় একত্র হতে বাধ্য হয়েছি। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ থেকে ডিসির মাধ্যমে উপদেষ্টাদের জানাতে চাই। ৭২ ঘন্টার মধ্যে আমাদের ভিসি দিতে হবে। তা না হলে আমরা কঠোর অবস্থানে যাব।

ইবাংলা/ বাএ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us