আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট সম্ভাবনা নিয়ে এখনো কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি, তবে কিছু পূর্বাভাস ও চ্যালেঞ্জের দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশে বাজেটের আকার ও তার কাঠামো সাধারণত সরকারি আয়, ব্যয়, এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার ওপর নির্ভর করে।
তবে, আগামী বাজেটের আকার আট লাখ কোটি টাকার মতো হতে পারে বলে কিছু গণমাধ্যম প্রকাশ করছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এ বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৫ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা এবং ঘাটতি সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
কিছু সম্ভাব্য বিষয়:
রাজস্ব বৃদ্ধির চাপ: রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে সরকারের জন্য চাপ থাকবে, বিশেষ করে ভ্যাট, আয়কর এবং অন্যান্য প্রকারের কর বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব বাড়ানোর চেষ্টা চলবে। তবে, সাধারণ জনগণের ওপর অতিরিক্ত কর চাপ বেড়ে যেতে পারে, যার ফলে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে পারে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য: সরকারের লক্ষ্য থাকবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, তবে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জগুলি এই লক্ষ্য অর্জনে বাধা হতে পারে।
সামাজিক খাতে খরচ বৃদ্ধি: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, এবং অন্যান্য জনকল্যাণমূলক খাতে খরচ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার দিকে যাত্রা অব্যাহত রাখতে।
ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও উন্নয়ন প্রকল্প: বড় পরিসরে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং প্রবৃদ্ধি সুনিশ্চিত করবে।
মোটকথা, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের কাঠামো বিভিন্ন দিক থেকে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে সরকারের অগ্রাধিকার হবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.