গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন আওয়ামী লীগ সুযোগ পেলে কাউকেই ছাড় দেবে না। দলটিকে কামব্যাক করানোর জন্য ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল অনেক এজেন্ট কাজ করবে, ফান্ড দেবে। কাজেই ছাত্রদেরসহ সব রাজনৈতিক দলকে বলব, আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আপনাদের অবস্থান পরিষ্কার করুন এবং করতেই হবে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ আয়োজিত গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে সাধারণ কৃষক, শ্রমিক, জনতার সন্তানরা প্রাণ দিয়েছেন। আপনারা দেখান তো কয়জন সচিবের ছেলে, এমপির ছেলে মারা গেছে? কিন্তু এর সুবিধা ভোগ করেছে এই সমাজের উচ্চবিত্ত, ধনী, লুটেরা ও সিন্ডিকেট শ্রেণি।
এ জন্যই আমরা বলেছি, আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রয়োজন হবে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আমরা চাই। এটা যদি জনগণ উপলব্ধি না করে তাহলে কিন্তু যেই লাউ সেই কদু।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আপনারা এই সরকারের নাম দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অন্তর্বর্তী নাম দিয়েই খেয়েছেন আপনারা। নাম হওয়া উচিত ছিল সর্বদলীয় জাতীয় সরকার।
কিন্তু আপনারা করেননি। আপনারা ভেবেছিলেন খুবই সহজ, সবাই আজীবনের জন্য মেনে নেবে? আপনারা দেখেন পাঁচ মাস যেতে না যেতেই সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছে।
এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে না। আপনাদের এই ঝগড়াঝাঁটি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবেন কোন সময়?
তিনি বলেন, আমরা মনে করি নির্বাচন যদি আগামী বছরের ডিসেম্বরে হয় বা পরবর্তী জুন-জুলাইয়ে হয়, জাতীয় সরকার ছাড়া কোনোভাবেই এই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
আমরা এখন অনুরোধ করব যেই দল জাতীয় সরকারে যাবে না, জনগণ তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। জনগণ কাউকে এককভাবে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগণ রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়, সংস্কার চায়। রাষ্ট্রকে নতুনভাবে বিনির্মাণ করতে চায়। আর সেটার জন্য জাতীয় সরকারের বিকল্প নেই।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.