বাড়ি ফিরেছেন দুই লাখ ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অপেক্ষার প্রহর শেষ। অবশেষে নিজ ঘরে ফিরতে শুরু করছেন হাজারো ফিলিস্তিনি। ইসরাইলি ছয় জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করার পর উত্তর গাজায় ফিরে যাচ্ছে তারা। এ সময় মিশ্র অনুভূতি দেখা গিয়েছে বাড়ি ফেরা গাজাবাসীর মধ্যে। একদিকে মুক্তির আনন্দ, অন্যদিকে প্রিয়জন ও সহায়-সম্বল হারানোর বেদনা।

Islami Bank

কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, সোমবার প্রথম ২ ঘণ্টায় উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে ২ লাখ ফিলিস্তিনি। সোমবার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত শনিবার হামাস তাদের হাতে জিম্মি চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয়। এর বিনিময়ে ২০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। তবে এরপর ইসরাইল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। গাজা যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর গাজা।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসাবে ওই এলাকার অধিবাসীরা তাদের আবাসস্থলে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু হামাস ওই নারী জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়ায় তাদের ঘরে ফেরা আটকে যায়।

ইসরাইল বলছে, হামাসের হাতে জিম্মি বেসামরিক ইসরাইলি আরবেল ইয়াহুদের মুক্তির যে পরিকল্পনা, সেটি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত গাজার বাসিন্দাদের উত্তর দিকে যেতে দেওয়া হবে না।

one pherma

পরে রোববার আরও ছয় ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়েছে। এরপরই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, সোমবার থেকে ফিলিস্তিনিরা গাজার উত্তরাঞ্চলে ফেরা শুরু করতে পারবেন।

যুদ্ধবিরতির পরই গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরতে চাইছেন। এ জন্য তাদের নেৎজারিম করিডর পার হয়ে আসতে হবে। কিন্তু ইসরাইল সেখানে উপকূলীয় একটি মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। তারা উত্তর গাজায় ফিরতে চাওয়া ফিলিস্তিনিদের মহাসড়ক পার হতে দিচ্ছিল না।

তবে সোমবার ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ফিলিস্তিনিদের পায়ে হেঁটে আল-রশিদ এবং সকাল ৯টা থেকে যানবাহনে সালাহ আল-দিনের করিডর অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে অনেকে এসব করিডর অতিক্রম করেছে।

ইবাংলা বাএ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us