রাঙামাটিতে পৌর আ’লীগ নেতাসহ আটক-৩; বিদেশে পালানোর অপেক্ষায় কয়েকজন

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি

সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারিদের দমনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে সারাদেশেরন্যায় রাঙামাটিতেও চলছে যৌথবাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট।

Islami Bank

এই অভিযানের আওতায় রোববার সন্ধ্যারাত পর্যন্ত রাঙামাটি শহর থেকে আওয়ামীলীগ ও সংগঠনটির সহযোগি সংগঠনের অন্তত তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে রাঙামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মনছুর আলী অন্যতম।

রাঙামাটির কোতয়ালী থানা কর্তৃপক্ষ জানায়, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে চলছে বিশেষ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসাবে রাঙামাটিতে গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়েছে।

রোববার ৯ ফেব্রুয়ারী বিকাল থেকে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাড়ীতে অভিযান কার্যক্রম শুরু করেন পুলিশ ও ডিবি পুলিশ।

বিকালে রাঙামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনছুর আলীকে আটক করে পুলিশ ও ডিবি পুলিশ। এর আগে ডিবি পুলিশ রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বরের বাস ভবনে অভিযান পরিচালনা করলে তাকে তার বাসায় পাওয়া যায়নি।

পরে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাস ভবনে অভিযান চালিয়ে সাধারণ সম্পাদক মনছুর আলীকে আটক করে। অপরদিকে রাঙামাটি সদর উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শাহজালাল মাঝি ও অপরজন ৯নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক মাওলা মিয়া।

কোতয়ালী থানা পুলিশ জানায়, ডেভিল হান্টের অংশ হিসাবে ইতিমধ্যে রাঙামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনসুর আলী ও শ্রমিকলীগের শাহজালাল মাঝি, মাওলা মিয়াকে আটক করা হয়েছে। চলমান এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা ইতিমধ্যেই রাঙামাটি থেকে পালিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে অবস্থান করছে।

one pherma

ঢর্ণাঢ্য পরিবারের এসকল নেতা বিগত ১৫ বছরে শত কোটি টাকার মালিক বনে তৃণমুল কর্মীদের বিপদের মুখে ফেলে রেখে বর্তমানে আত্মগোপনে থাকছে।

আওয়ামীলীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, জেলা আওয়ামীলীগের প্রথমসারির অন্তত ৫জন নেতা একজন সিআইপি’র মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাবে শীঘ্রই।

জানাগেছে, উক্ত সিআইপি বর্তমানে বাংলাদেশেই অবস্থান করছে এবং আওয়ামীলীগের ভিআইপি নেতাদের বিদেশে নিয়ে যাওয়ার সকল কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে।

সংশ্লিষ্ট্য একটি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও ঢাকা বিমান বন্দরকে নিরাপদ মনে না করায়, সিলেট বিমানবন্দর হয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্য গিয়ে সেখান থেকে লন্ডণসহ বিভিন্ন ইউরোপ কান্ট্রিতে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমাবে।

এদিকে, রাঙামাটির আরেক ভিআইপি তরুন নেতা ইতিমধ্যেই তার বোন জামাইকে ব্যবহার করে চট্টগ্রামে অবস্থান করছে। বোন জামাই জামায়াত নেতা হওয়ার সুবাধে চট্টগ্রামে বেশ দাপটের সাথেই তার দিনকাল চলছে বলে জানিয়েছে আওয়ামীলীগের এক নেতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ নেতা জানান, আমরা তৃণমুলের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে নামার জন্য আমাদেরকে সবসময় নির্দেশনা প্রদান করে। আর আমাদের সিনিয়র নেতারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সবকিছু লুটপাট করে নিজেদের বিদেশে বসবাসের উপযোগি করে তুলেছেন, আর আমরা এখন রাস্তা নামলেই গ্রেফতারের পাশাপাশি জনরোষের শিকার হচ্ছি।

পরিবার পরিজন ফেলে কোথায় পালাবো আর আমরা পালিয়ে গেলে আমাদের পরিবারের সদস্যরা না খেয়ে মরবে? সে আশঙ্কায় কোথাও যেতেও মন সায় দিচ্ছে না।

ইবাংলা বাএ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us