রাঙামাটিতে ধর্ষণে রক্তাক্ত কিশোরীকে মুমুর্ষাবস্থায় চট্টগ্রামে রেফার্ড; অভিযুক্ত আটক

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি

রাঙামাটি শহরে বহুরূপি প্রেমিক কর্তৃক ১৪ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রেমিক নামক নরপশুর ধর্ষাঘাতে গুরুত্বর আহত কিশোরীকে শুক্রবার (১৪ই ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে চট্টগ্রাম রেফার্ড করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Islami Bank

এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক আবু সুফিয়ানকে ঘটনার পরপরই রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাহেদ উদ্দিন। আটককৃত আবু সুফিয়ান রাঙামাটি শহরের বাস টার্মিনাল সংলগ্ন শান্তিনগর এলাকার জসিম উদ্দিনের সন্তান বলে জানা গেছে।

জানাগেছে, রাঙামাটি শহরের ৭নং ওয়ার্ডস্থ শান্তি নগরের বাসিন্দা পেশায় ফার্নিচার মিস্ত্রি আবু সুফিয়ান(২৪) তার মাকে নিয়ে গত দুই মাস আগে শহরের ভেদভেদী এলাকার উক্ত ভিকটিমের বাসায় গিয়ে তার মা’কে মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেয়। উক্ত আবু সুফিয়ান বখাটেপনায় লিপ্ত বিষয়টি জানতে পেরে মেয়ে ছোট এই অজুহাতে মেয়ে বিয়ে দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়।

কিন্তু বখাটে আবু সুফিয়ান উক্ত মেয়ের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে আজ শুক্রবার জরুরী কথা আছে বলে ভিকটিম কিশোরীকে ডেকে নিয়ে শহরের আবাসিক হোটেল ড্রিমল্যান্ডের ১১৭ নাম্বার রুমে নিয়ে যায়।

সেখানে ভিকটিম কিশোরীকে জোরপূর্বক শারিরিক সম্পর্ক করতে গিয়ে এক পর্যায়ে ভিকটিমের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়েটিকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় অভিযুক্ত আবু সুফিয়ান।

one pherma

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল ৪ টা ১০ মিনিটের সময় ভিকটিম কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরেও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় এবং শারিরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত পুলিশের কাছে উক্ত বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় কোতয়ালী থানা পুলিশের মাধ্যমে ভিকটিমকে নিয়ে যাওয়া অভিযুক্ত আবু সুফিয়ানকে আটক করা হয়।কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাহেদ উদ্দিন জানান, আটককৃত যুবকের বিরুদ্ধে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে চট্টগ্রামে অবস্থানরত ভিকটিমের স্বজনরা এই প্রতিবেদক জানান, মেয়েটি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

রাত বারোটা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি জানিয়ে তার ভাই জানায়, সন্ধ্যারাতে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার পর সে দুইবার অজ্ঞান হয়ে গেছে। মধ্যরাতেও তার জ্ঞান ফেরেনি। এই ধরনের একটি নির্মম ও ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত বখাটে আবু সুফিয়ানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

ইবাংলা বাএ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us