নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ইউপি সদস্যকে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যানের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল,ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে। প্রায় এক ঘণ্টা চেযারম্যান তার কক্ষে অবরুদ্ধ থাকার পর স্থানীয় বিএনপি নেতারা এসে তালা খুলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন…শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২০ এপ্রিলেই শেষ করার নির্দেশ
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মারধরের শিকার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো.শামীম। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ সমর্থন করতাম। কিন্ত অতীতে কোনো অনিয়মের সাথে ছিলাম না। এজন্য গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আমরা যথারীতি ইউনিয়ন পরিষদে এসে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
ইউপি সদস্য শামীম অভিযোগ করে আরও বলেন, দেড় মাস আগে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে কৃষকদের জন্য সার আসে। সেখানে আমার ওয়ার্ডের ৪৫জন কৃষকের সার পাওয়ার তালিকায় নাম ছিল। সোমবার সকালে গ্রাম পুলিশ ও যুবদল নেতা সোহেল মাধ্যমে তালিকা অনুসারে ওই সার বিতরণ শুরু করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে একই ওয়ার্ডের যুবদল নেতা রানা,জাবেদ ও ছাত্রদল নেতা মহসিন।
পরে বেলা ১১টার দিকে তারা ১৫-২০জন ইউনিয়ন পরিষদে যায়। সেখানে তারা আমার কাছে জানতে চায় কার অনুমতি নিয়ে সার বিতরণ করছি। একপর্যায়ে গ্রাম পুলিশের কক্ষে ঢুকে আমাকে গালমন্দ করে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেয়। কিছুক্ষণ পর গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন মিন্টুকে তার কার্যালয়ের ভিতরে রেখে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.হাবীবুর রহমান বলেন, সার বিতরণ নিয়ে হালকা একটা ঘটনা ঘটেছে। মেম্বার দলকে নিয়ে গালাগালি করলে একটু বাড়াবাড়ি হয়। তালা দিয়েছে, তালা আমি খুলে দিয়েছি। পুলিশ ও সেনবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। আলাপ আলোচনা হয়েছে, আমরা বসে শেষ করে দেব, সামান্য একটা ব্যাপার। তালা দেওয়ার ১০-১৫ মিনিট পর আমি তালা খুলে দিয়েছি। রানা ও মহসিন আমাদের দল করে। তবে জাবেদ নামে কাউকে আমি চিনি না।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়ে। এক মেম্বারের সাথে সাথে স্থানীয় এক ছাত্রদল নেতার বাগবিতন্ডা হয়। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার নিয়ে যায় তারা। সেখানে চেয়ারম্যানের সাথেও তাদের ভুলবুঝাবুঝি হয়। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিষয়টি সমাধান করে।
ইবাংলা/ বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.