সাংবাদিক মীর আফরোজ জামানকে হুমকির ঘটনায় সাংবাদিক নেতাদের নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ

ঢাকার সাংবাদিকরা একের পর এক হুমকির সম্মুখিন হচেছন ফলে স্বাধীন সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হচেছ। শুক্রবার বিকেলে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইউএনআই অফিসে গিয়েছিল বিমান বন্দর থানার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নোমানসহ আরও দুজন। ওই সময় অফিসরুম তালা লাগানো ছিল।

Islami Bank

আরও পড়ুন…অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদ ছাড়লেন নাহিদ ইসলাম

 তারা সেখান থেকে ইউএনআইতে কর্মরত প্রতিনিধি মীর আফরোজ জামানকে টেলিফোন করে নানা ধরণের হুমকি প্রদান করে এবং এক ঘন্টার মধ্যে যদি তাদের সঙ্গে গিয়ে দেখা না করে তাহলে তারা তার অফিসরুমে তালা লাগিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয় । এ অবস্থায় মীর আফরোজ জামান ২ ঘন্টা পর উত্তরা পশ্চিম থানাতে গিয়ে একটি সাধারণ ডাইরি করেন। ডাইরি নম্বর-২৩৭৭ ।

পুলিশ জানায়, তারা অপরাধীদের ধরতে তৎপর। কিন্ত ৫ আগষ্টের পর থেকে বাংলাদেশের অধিকাংশ থানাতে স্বাভাবিক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ হচেছ। অনেক পুলিশ সদস্য এখনও কাজে যোগদান করেনি।

এদিকে, সাংবাদিক মীর আফরোজ জামানকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কর্তৃক  হুমকির ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের মধ্যে এবং এটি স্বাধীন সাংবাদিকতায় চরম হস্তক্ষেপ বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। ঢাকার সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের একটি বড় সংগঠন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।

one pherma

এই সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এক বিবৃতিতে বলেন,’এ ধরণের হুমকি সাংবাদিকদের স্বাধীন ভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা তৈরি করছে যা অপ্রত্যাশিত’ এ ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান সাংবাদিক নেতারা।

অনুরুপ ভাবে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকায় কর্মরত ভারতীয় মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদদাতাদের সংগঠন (ইমক্যাব) এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে । এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মীর আফরোজ জামানকে হুমকি প্রদানকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।

এ ছাড়াও যেসব সাংবাদিকদের বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরও মুক্তি দিতে হবে’। জানা গেছে, জামান আতংকে অফিসে বসতে পারছেন না। পুলিশও ও পারগতা প্রকাশ করেছে। সাংবাদিকদের ”ফ্রিডম অব ইস্পিচ” বলতে কিছু আছে বলে মনে হচেছ না।

ইবাংলা/ বা এ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us