মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের লেইস প্রজেক্ট বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তার প্রায় তিন হাজার তিনশত চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আনন্দ ভ্রমণ করেছেন এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শিপন কুমার দাস।
আরও পড়ুন…ফুল বাগান দেখানোর প্রলোভনে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, দুই ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৪
জানা গেছে প্রকল্পের কোন অগ্রগতি না হলেও ইতিমধ্যে প্রায় ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে বলে স্বীকার কেরেছেন শিপন কুমার দাস। তবে, কোন খাতে কিভাবে এই টাকা খরচ করেছেন তার কোর সদোত্তর দিতে পারেননি প্রকল্পের এই শীর্ষ কর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ১৭ ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। হবিগঞ্জ প্যালেস প্রায় ৫০ জন শিক্ষক ও পরিবার সদস্য নিয়ে আনন্দ ভ্রমণে যায়। সেখানে প্রতিটি রুম ভাড়া ৭৫ হাজার টাকা করে তিন দিন আনন্দ ভ্রমণ আনন্দ ফুর্তি করে। প্রশ্ন হল ঋণের টাকায় আনন্দ ভ্রমন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে লেইস প্রজেক্ট এর প্রকল্প পরিচালক শিপন কুমার দাস এই প্রতিবেদককে জানান, নিরাপত্তা প্রটোকল অনুসারে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত মানের ভেন্যূতে কর্মসূচি আয়োজিত হয়ে থাকে।
বর্ণিত কর্মশালায় লেইসের DLR বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার যথা: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, ইআরডি, আইএমইডি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, এনসিটিবি, এবং নায়েমের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর এর শিক্ষক, ক্লাইমেট বিশেষজ্ঞ, জেন্ডার বিশেষজ্ঞসহ লেইস এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বব্যাংক মিশনের সদস্যবৃন্দ এতে আয়োজক হিসাবে ছিলেন।
উক্ত কর্মশালায় লেইস এর জন্য চলতি প্রথম বছরে নির্ধারিত বিশেষজ্ঞগণ সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপস্থিতিতে উপস্থাপন করেন। বিশ্বব্যাংকের মিশন বিগত ০২ মার্চ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিশনের সমাপনী সভায় উল্লেখ করেছে যে, তাদের মূল্যায়নে বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ৪২টি প্রকল্পের মধ্যে লেইস প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি অন্যতম শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন…এক দুর্বৃত্তের উত্থান ও করুণ পরিণতি
এটি প্রত্যাশিত যে, প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াকরণ শেষে লেইস এর অর্জন হিসাবে চলতি বছরের জন্য মোট ৬৪ মিলিয়ন ডলার সরকারি কোষাগারে জমা হবে। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এটি দেশের একটি বড় অর্জন হিসাবে বিবেচিত হবে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ মহলের মন্তব্য, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিদেশি ঋণের টাকায় মাইশির এই প্রকল্পের এ ধরণের আনন্দ ভ্রমণ ককনোই কাম্য হতে পারে না।
ইবাংলা/ বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.