ইরানে রাসায়নিক বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী বন্দর আব্বাসে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুন এখন পর্যন্ত নেভাতে সক্ষম হননি দমকলকর্মীরা। এদিকে এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সবশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে।

Islami Bank

আর আহত হয়েছেন ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ।রোববার (২৭ এপ্রিল) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (২৬ এপ্রিল) ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দক্ষিণে বন্দর আব্বাসের কাছে শহীদ রাজাই বন্দরে শক্তিশালী এই বিস্ফোরণটি ঘটে।

ইরানের সংকট ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন জাফারি বিস্ফোরণের জন্য শহীদ রাজয়ি বন্দরে কনটেইনারে রাসায়নিকের দুর্বল সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন।

জাফারি জানান, এর আগেও সংকট ব্যবস্থাপনার মহাপরিচালক এই বন্দর সফরকালে সতর্কতা জারি করেছিলেন এবং বিপদের আশঙ্কার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে বজ্রপাতে দিনমজুরের মৃত্যু

অবশ্য, ইরান সরকারের একজন মুখপাত্র জানান, রাসায়নিক পদার্থ থেকে বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে, তবে এখনও নির্দিষ্ট কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

one pherma

বার্তাসংস্থা ইরনার তথ্য অনুযায়ী, ইরানের সবচেয়ে বড় এবং উন্নত কনটেইনার বন্দর হিসেবে স্বীকৃত শহীদ রাজয়ি বন্দরটি। দক্ষিণাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ নগরী বন্দর আব্বাস শহরের ২৩ কিলোমিটার পশ্চিমে ও হরমুজ প্রণালির উত্তরে অবস্থিত এই কনটেইনার বন্দর। বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ তেল পরিবহণ করা হয় এ প্রণালি দিয়ে।

এদিকে, ভয়াবহ এ বিস্ফোরণের ঘটনায় তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন তিনি।এছাড়া, এ ঘটনায় আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) সব বিদ্যালয় ও অফিস বন্ধ আছে বন্দর আব্বাসে।

বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পরও ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত ফুটেজে বন্দরের ওপর বিশাল কালো ও কমলা ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। এছাড়া একটি অফিস ভবন দেখা গেছে যার দরজা উড়ে গেছে এবং কাগজপত্র ও ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।

সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিস্ফোরণে কয়েক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অবস্থিত ভবনের জানালাগুলো ভেঙে পড়ে এবং প্রায় ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কিশ দ্বীপেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে একের পর এক প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটেছে ইরানের জ্বালানি এবং শিল্প অবকাঠামোতে। এগুলোর বেশিরভাগই শনিবারের বিস্ফোরণের মতো এবং এর জন্য অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে।

ইবাংলা বাএ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us