নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে ভাতিজিকে (১৯) নিয়ে রিপন চন্দ্র দাস নামে এক যুবলীগ নেতা লাপাত্তা রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় গতকাল রোববার ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে, গত শনিবার উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রিপন চন্দ্র দাস (৩৮) উপজেলার চরঈশ্বর ইউনের ৪নম্বর ওয়ার্ডের চরলটিয়া গ্রামের প্রিয়লাল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তিন সন্তানের জনক। ওই কলেজ ছাত্রী তার দূর সম্পর্কের ভাতিজি হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, যুবলীগ নেতা রিপন ও নিখোঁজ কলেজ ছাত্রী নিকট প্রতিবেশী হয়। মেয়ের বাবার সাথে রিপনের সুসম্পর্ক ছিল। ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা প্রায় রিপনকে তার বাড়িতে নিয়ে যেত। সেখানে রিপন প্রায় মা-মেয়ের সাথে গল্প করত। তবে ভুক্তভোগী পরিবার বলছে, কলেজে যাওয়ার পথে মেয়েকে উত্যাক্ত করত রিপন।
একপর্যায়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। মেয়ে বিষয়টি তার বাবাকে বলার পর তিনি ছেলের পরিবারকে বিষয়টি জানায়। তখন অভিযুক্ত ছেলে ও তার পরিবারের লোকজন মেয়ের বাবাকে হুমকি ধামকি দেয়। রিপন সরকার পতনের পর কিছুদিন গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন…রাঙামাটিতে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী বিদ্যুৎ চাকমা আটক
কয়েক মাস আগে আগে আবার প্রকাশ্যে আসে। গত শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে কলেজে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে রিপনসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এখনো মেয়ের কোন খোঁজ পাননি তার পরিবার।যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা রিপন চন্দ্র দাসের মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা আরো বলেন, মেয়ের বাবার সাথে অভিযুক্ত ছেলের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। প্রায় মেয়ের বাবা ছেলেকে তাদের বাসায় নিয়ে যেত, খাওয়া দাওয়া করত, এক সাথে ঘুমাতো।
ওই ছেলে মেয়েকে কলেজে নিত, এখন সে মেয়ে নিয়ে ভাগছে। এখানে অপহরণের কোনো কাহিনী নেই। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইবাংলা বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.