গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান “অপারেশন গিডিয়নস চ্যারিয়টস”

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরায়েল গাজায় “অপারেশন গিডিয়নস চ্যারিয়টস” নামে একটি নতুন এবং ব্যাপক স্থল অভিযান শুরু করেছে। শনিবার (১৮ মে) স্থানীয় সময় সকাল থেকে ইসরায়েলি স্থল বাহিনী গাজার উত্তর ও দক্ষিণে একযোগে অগ্রসর হতে থাকে। এই অভিযানের লক্ষ্য হলো হামাসের অবকাঠামো ধ্বংস করে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন করা।

Islami Bank

আরও পড়ুন…জাতিসংঘের কার্বন বাজারের অধিনে বিশ্বাসযোগ্য জলবায়ু প্রকল্পে ঋণ প্রদানে সম্মত

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, এই অভিযানে নিয়মিত সেনার পাশাপাশি রিজার্ভ ইউনিটও অংশ নিচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ৬৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে রয়েছে সুড়ঙ্গ, অস্ত্রাগার ও সন্ত্রাসী ঘাঁটি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত অন্তত ১৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে চলতি সংঘাতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৩,৩৩৯-এ দাঁড়িয়েছে। বহু বাসিন্দা গৃহহীন হয়েছেন এবং আহতের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে।

গাজার হাসপাতালগুলো বারবার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ায় চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর ঘাটতি, বিদ্যুৎ সংকট ও নিরাপদ জলের অভাবে মানবিক সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তার প্রবেশের অনুমতির দাবি জানিয়েছে।

one pherma

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে আগ্রহী, যেখানে থাকবে জিম্মি মুক্তি, হামাস নেতাদের নির্বাসন এবং গাজার নিরস্ত্রীকরণ। তবে হামাসের পক্ষ থেকে এখনো এই প্রস্তাবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং রাষ্ট্র আন্তর্জাতিকভাবে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তবে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান নতুন এক সহিংস অধ্যায় সূচিত করেছে। এই সংঘাত কেবল সামরিক নয়, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনছে। আন্তর্জাতিক মহলের উদ্যোগ ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই কেবল এই সংকটের সমাধান সম্ভব

ইবাংলা/ বাএ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us