জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নির্বাহী প্রধান সাইমন স্টিয়েল ২০২৫ সালের প্রাকৃতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ও অর্থনীতির অনিশ্চয়তার ছায়ায় আমরা পড়ে থাকলেও, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবই আমাদের ভবিষ্যৎকে সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে ফেলছে।তিনি বলেন, পানামা খালের পানির স্তর উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং এর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে, চিকিৎসা সরবরাহে, খাদ্য সুরক্ষায় ও জীবিকায়।
স্টিয়েল উল্লেখ করেন, “এখন অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রতিষেধক হিসেবে দরকার স্বচ্ছ ও শক্তিশালী জলবায়ু নীতি।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, নতুন প্রজন্মের জলবায়ু পরিকল্পনাগুলো কেবল কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয় নয়, বরং অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন…কেন্দ্রীয় সভাপতির মুক্তির দাবিতে রাঙামাটিতে এ্যাম্বুলেন্স মালিকদের মানববন্ধন
বক্তব্যে তিনি ব্রাজিল, জার্মানি ও চীনের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং জানান, “বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতিগুলো এখন জলবায়ু কর্মসূচির মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইছে।”তার মতে, “জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই শুধু পরিবেশ রক্ষা নয়, বরং ২ ট্রিলিয়ন ডলারের পরিচ্ছন্ন জ্বালানি বাজারে অংশ নেওয়ার সুযোগ।”
সাইমন স্টিয়েল সবশেষ বলেন, “সমাধান সকলের উপকারে আসতে হবে।
নতুন বাজার, নতুন বাণিজ্যপথ, এবং সম্মিলিত উদ্যোগই ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি।”তিনি আশা প্রকাশ করেন, পানামায় শুরু হওয়া নতুন জলবায়ু সপ্তাহ বিশ্বব্যাপী বাস্তব সমাধানগুলো উদ্ভাবন ও বাস্তবায়নের একটি মাইলফলক হয়ে উঠবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.