আজ ১২ জুন বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মরুভূমি ও খরা মোকাবেলা দিবস’। প্রতি বছর এই দিনে জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমি অবক্ষয় এবং খরা পরিস্থিতি নিয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য, “ভূমি পুনরুদ্ধার করুন, সুযোগ উন্মুক্ত করুন”, যা বাস্তবতার এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোরালো আহ্বান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবজাতি উদ্বেগজনক হারে ভূমির অবনতি ঘটাচ্ছে, যার ফলে প্রতি বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রায় ৮৮০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছে। অথচ ভূমি সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে যে পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন, তা এই ক্ষতির তুলনায় অনেক কম।
খরার ফলে অনেক মানুষ নিজ বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বছর বছর বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতি দারিদ্র্য, অপুষ্টি এবং আর্থসামাজিক বৈষম্য আরও প্রকট করে তুলছে।
আরও পড়ুন…
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমির পুনরুদ্ধারে বিনিয়োগ করলে তা থেকে বহুমুখী লাভ অর্জন সম্ভব। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে, দারিদ্র্য হ্রাস পায়, খাদ্য উৎপাদন সুরক্ষিত হয়, জল সরবরাহ নিশ্চিত হয় এবং ক্ষুদ্র কৃষক ও নারীদের জন্য ভূমির অধিকার ও আয় বৃদ্ধি পায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব তাঁর বিবৃতিতে বলেন, “সরকার, বেসরকারি খাত এবং সকল সম্প্রদায়কে ভূমি ব্যবস্থাপনায় টেকসই নীতি গ্রহণ করতে হবে। ভূমির অবক্ষয় রোধে আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে এবং পুনরুদ্ধারের জন্য অর্থায়ন বাড়াতে হবে। বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরির দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।
এই দিবসটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে হলে ভূমির প্রতি যত্নশীল হওয়া এখন সময়ের দাবি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.