ইরানের তৃতীয় রাতের হামলায় কেঁপে উঠলো ইসরাইলের বন্দর নগরী হাইফা

ইবাংলা আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘর্ষের তৃতীয় রাত ছিল ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফার জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ। রাত ১২টার কিছু পর ইরান থেকে ছোড়া একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শহরের বন্দর অঞ্চল ও একটি শিল্প এলাকা (ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন) লক্ষ্য করে আঘাত হানে।

Islami Bank

আরও পড়ুন…ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২০০ ইহুদি নিহত ও আহত

রোববার (১৬ জুন) রাত ১২:৩৮ মিনিটে আকাশজুড়ে হঠাৎ বিমান হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে হাইফায়। এর মাত্র কয়েক সেকেন্ড পরেই: আকাশে দেখা যায় মিসাইল ট্রেইল, তারপর একের পর এক তীব্র বিস্ফোরণ, চারদিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ও আগুনের গোলা, বিস্ফোরণের তীব্রতায় গাড়ি, ভবন ও দোকানের কাঁচ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে পড়ে।

প্রধান টার্গেট ছিল হাইফা পোর্ট – জাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র, ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন – রাসায়নিক ও ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী ফ্যাক্টরি, একটি বেসামরিক আবাসিক এলাকা – ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত হতে না পারায় পাশের ভবন ক্ষতিগ্রস্ত

ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহত প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭ জন নিহত ও ৪০+ জন আহত ১২টি বাড়ি ও একটি ফ্যাক্টরি সম্পূর্ণ ধ্বংস। ধ্বংসস্তূপের নিচে একাধিক ব্যক্তি আটকে পড়েছেন বলে ধারণা। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত

one pherma

ইসরায়েলি ফায়ার সার্ভিস ও সেনা ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে হেলিকপ্টার ও ড্রোনের মাধ্যমে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয় আহতদের হাইফা মেডিকেল সেন্টার ও কারমেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে জানায় গার্ডিয়ানকে জানায়, “আকাশে কিছু একটা ছুটে আসতে দেখলাম। তারপর এমন বিস্ফোরণ, যেন পুরো শহর কেঁপে উঠলো।”
লিয়োর বেঞ্জামিন, হাইফার এক বাসিন্দা। জানায়,“আমার জানালার কাঁচ উড়ে গেল। নিচের রাস্তা অগ্নিগোলায় ভরে গিয়েছিল।” সারা ইলিয়ট, এক শিক্ষিকা।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে জায়ানবাদী দখলদার ইসরায়েল সরকার এটিকে “সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা” বলে আখ্যা দিয়েছে। ইরান বলেছে এটি ছিল “সীমাহীন আগ্রাসনের জবাব”। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে

ইবাংলা বাএ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us