জি৭ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও নিরাপত্তার নাটকীয় মোড়
ইস্রাফিল হাওলাদার
জি৭ সম্মেলন চলাকালীনই নাটকীয় মোড় নিল আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি। সোমবার (১৬ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিকভাবে তার সফর সংক্ষিপ্ত করে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কানাডার আলবার্টা থেকে সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরছেন।
আরও পড়ুন…চতুর্থ দফায় ইসরায়েলে বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত ইরানের
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যে উদ্ভূত অস্থিরতার কারণে ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম Truth Social-এ দেওয়া একটি পোস্টে ট্রাম্প লেখেন: “সকলের অবিলম্বে তেহরান ত্যাগ করা উচিত!” -যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
জি৭ সম্মেলনে অন্যান্য বিশ্ব নেতার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ছবি তোলার মুহূর্তেই ট্রাম্প বলেন, “আমাকে ফিরে আসতে হবে। আমি যা দেখছি, তোমরা সম্ভবত তা দেখতে পাচ্ছ।” এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে সাধারণ মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে এমন ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে আক্রমণ শুরু করেনি। বরং এটি “পুরোপুরি প্রতিরক্ষামূলক ভঙ্গি” বলে দাবি করেছেন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ।
পিট হেগসেথ সাইডলাইনে বিশ্বগণমাধ্যমকে বলেন, “আপনি যা দেখছেন তা হলো শক্তির মাধ্যমে শান্তি। আমাদের অবস্থান প্রতিরক্ষামূলক এবং চুক্তির পথ তৈরি করাই লক্ষ্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, আলোচনার দরজা খোলা আছে। এখন দেখার বিষয়, ইরান তা মেনে নেবে কি না।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের হঠাৎ এই তৎপরতা শুধু জিওপলিটিকস নয়, বরং ২০২৫ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশও হতে পারে। তবে আপাতত আন্তর্জাতিক দৃষ্টি এখন তেহরান ও ওয়াশিংটনের দিকে।
ইবাংলা বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.