ঋতু পরিবর্তনে বাড়তে পারে ভাইরাসের প্রকোপ!

লাইফস্টাইল ডেস্ক :

পঞ্জিকার হিসাবে এখন ভরা অগ্রহায়ণ।  পৌষ আসতে আর মাত্র ২১ দিন বাকি।  কিন্তু প্রকৃতি এখনই শীতের পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে।  ভোরে শিশিরসিক্ত করছে দূর্বাঘাস ও গাছপালা।  সকালের কোমল রোদে মুক্তোদানার মতো জ্বলজ্বল করে।  দিনে সূর্যের তাপের প্রখরতাও কমেছে।  মাঠ-ঘাটে শ্রমজীবীরা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন।  পশ্চিমাকাশে সূর্য ঢলে পড়লে আরাম বোধ যেন আরও বেড়ে যায়।

এর মধ্যেই আবার ঠাণ্ডা পড়তে পড়তে আচমকাই বদল হয় আবহাওয়ার।  শহরের তাপমাত্রা ওঠানামা করছে! কখনও কপালে জমছে বিন্দু বিন্দু ঘাম।  আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনে ভাইরাসের পোয়াবারো।  চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন আবহাওয়ায় ফুসফুসের শত্রু ভাইরাসদের আক্রমণ আরও ধারালো হয়।  আচমকাই হতে পারে গলা খুশখুশ।  নাক দিয়ে পানি পড়াসহ বিভিন্ন রোগ।  তাই সাবধান করছেন চিকিৎসকেরা।

চিকিৎসকেরা বলছেন, গলা খুশখুশ এড়াতে ঠাণ্ডা খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গরম খাবার খেলেই সর্বনাশ। দুই ধরনের তাপমাত্রা শরীর খারাপ হতে বাধ্য।  আচমকা তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বেড়ে যায় শ্বাসকষ্টের সমস্যাও।  ধুলাবালির হাত থেকে বাঁচতে রুমালে নাক ঢাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।  যদিও রাস্তায় সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকলে ধুলো অনেকটাই এড়ানো যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এ সময়ে বয়স্কদের বিপদের হাত থেকে বাঁচতে আগেভাগেই সাবধান হতে বলেছেন ভারতের বয়স্ক রোগ বিশেষজ্ঞ কৌশিক মজুমদার।  তিনি জানিয়েছেন, বয়স্কদের মধ্যে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের সাবধানে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন : শীতে মধু খাওয়ার ৪ উপকারিতা

চিকিৎসকের কথায়, “ডায়াবেটিসের ওষুধ খেলে এমনিতেই সোডিয়ামের তারতম্য হয়।  আচমকা গরমে অতিরিক্ত ঘাম বেরিয়ে গেলে শরীরে সোডিয়াম শূন্যতা তৈরি হতে পারে।”  হাঁটতে বেরোলে তাই বয়স্কদের হাতে ছাতা অথবা টুপি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মজুমদার।  আচমকা পানির তৃষ্ণা পেলে রাস্তা থেকে পানি না খাওয়াই ভালো।  তাতে পেট খারাপের সম্ভাবনা প্রবল।  চিকিৎসকের পরামর্শ, “সঙ্গে রাখুন পানির বোতল।  গরম লাগলেও রাস্তার বরফ-আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা পানীয় খাবেন না”

ইবাংলা/এএমখান/২৪ নভেম্বর, ২০২১

আবহাওয়াভাইরাসশীতসুস্থতা
Comments (0)
Add Comment