খালেদা জিয়ার মূল সমস্যা পরিপাকতন্ত্রে। দেশে তার রোগ নির্ণয় সম্ভব হচ্ছে না।এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২৭ নভেম্বর ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. সামসুল আলম খান মিলনের ৩১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী অনেক অসুস্থ। এখন তার জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দেশের টেকনোলজি দিয়ে তার সঠিক রোগ নির্ণয় সম্ভব হচ্ছে না। তাই চিকিৎসকরা বার-বার তাকে বিদেশে এডভান্স সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নিতে বলছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, কেন আমরা দেশনেত্রীর বাইরে চিকিৎসার কথা বলছি, কী কারণে-তা আমাদের সবারই জানা উচিত। তা হচ্ছে- খালেদা জিয়ার যে অসুখ তা প্রধানত পরিপাকতন্ত্রের। কোন জায়গায় তার রক্তপাত হচ্ছে- এটাকে বের করার জন্য আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ডাক্তাররা গত কয়েকদিন ধরে চিকিৎসার যে পদ্ধতি আছে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন রকম কাজ করেছেন। কিন্তু একটা জায়গায় এসে তারা আর এগুতে পারছেন না। কারণ সেই ধরনের কোনো টেকনোলজি দেশে নেই। যে টেকনোলজি দিয়ে সেখানে পৌঁছাতে পারেন।
যে কারণে চিকিৎসকরা বার বার বলছেন, দেশনেত্রীকে একটি এডভান্স সেন্টারে নেওয়া দরকার। যেখানে এ ডিভাইসগুলো আছে, টেকনোলজি আছে, যন্ত্রপাতিগুলো আছে, যেখানে গেলে তার সঠিক যে রোগ সেই রোগের জায়গাটা তারা ধরতে পারবেন। পরিপাকতন্ত্রের যেখান থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে সেটা বন্ধ করা।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বৈরাচারের চেয়ে ফ্যাসিবাদের পার্থক্য বিশাল। সেদিন একটি অংশের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে, আজকে লড়তে হচ্ছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। এখন গুলি করে পুলিশ, গুলি করছে রাষ্ট্র- বাংলাদেশকে সুপরিকল্পিতভাবে বিরাজনীতিকরণ করার জন্য, রাজনীতিকে সরিয়ে ফেলার জন্য। বাংলাদেশকে সুপরিকল্পিকভাবে একটি ফ্যাসিস্ট এটা শুরু হয়েছে ওয়ান ইলেভেন থেকে। সেই চক্রান্তের কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুরপ্রহর গুনছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান খান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ
ইবাংলা / নাঈম/ ২৭ নভেম্বর, ২০২১