বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ নিয়ে কটূক্তি ও বিতর্কিত মন্তব্য করা কাটাখালি পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আর সেই মামলার গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক রয়েছেন পৌর মেয়র আব্বাস আলী।
এবার তাকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ওই পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খোকনুজ্জামান মাসুদ।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. খোকনুজ্জামান মাসুদ পুরস্কার ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মেয়র আব্বাস বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করে চরম অন্যায় করেছেন। এরজন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে। সে পৌর মেয়র হওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে অতিষ্ঠ পৌরবাসী।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির পর থেকে কাপুরুষের মতো তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। তাকে ধরার জন্য এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছি।
জানা গেছে, পুরস্কার ঘোষণাকারী সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. খোকনুজ্জামান মাসুদ একজন ব্যবসায়ী। ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর হওয়ায় যুবলীগের পদ ছেড়েছেন মাসুদ। ২০২০ সালে তিনি কাটাখালী নির্বাচনে আব্বাসের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে তিনি ৩৬ ভোট পান।
এদিকে,রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মমিনের দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন বিতর্কিত মেয়র আব্বাস আলী।
অন্যদিকে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ জন্য রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদকসহ পাঁচ আইনজীবীকে পৌর মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আব্বাসের গ্রেপ্তারের বিষয়ে রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, এরই মধ্যে আমরা পৌর মেয়র আব্বাসকে ধরতে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছি। আশা করা যায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পৌর মেয়র আব্বাসকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।
ইবাংলা /টিআর/২৯ নভেম্বর ২০২১