বিশ্বজুড়ে নতুন করে আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে ওমিক্রন। করোনার এই নতুন ধরন নিয়ে বাংলাদেশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ওমিক্রন প্রতিরোধে আবারও বিধি-নিষেধ আসতে পারে।
এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ, ভিড় কমানো, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করা, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা, সীমান্ত এলাকাগুলোতে স্ক্রিনিং জোরদারসহ বেশ কিছু বিধি-নিষেধ জারি করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ১৮টি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসছেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হবে। বৈঠকের পর দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এরই মধ্যে ইউরোপের অনেক দেশ আফ্রিকার সব দেশের সঙ্গেই ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও একই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনটির বিস্তার ঠেকানোর অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকার বন্দরগুলোতে সতর্কতা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে গত রবিবার (২৮ নভেম্বর) কভিড-১৯-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বৈঠক করেছে। কমিটির সদস্যরা চারটি সুপারিশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, যেসব দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেখান থেকে যাত্রী আসা বন্ধ করতে হবে। কোনো ব্যক্তির এসব দেশে ভ্রমণের সাম্প্রতিক (শেষ ১৪ দিন) ইতিহাস থাকলে তাকে বাংলাদেশে ১৪ দিন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। করোনা শনাক্ত হলে আইসোলেশনে যেতে হবে।
প্রতিটি বন্দর ও সীমান্তে স্ক্রিনিং পরীক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে পালন করা (স্কুল, কলেজসহ), চিকিৎসাব্যবস্থা শক্তিশালী করা, বিভিন্ন (রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়) সমাবেশে জনসমাগম সীমিত করা এবং মানুষকে উৎসাহিত করতে করোনা পরীক্ষা বিনা মূল্যে করার সুপারিশ করা হয়।
অন্যদিকে, এই সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৫ দফা পদক্ষেপ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ইবাংলা/টিআর /৩০ নভেম্বর ২০২১