নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এক কিশোরীর বাল্যবিবাহ পণ্ড হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক মীর।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেরার চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ছামিউল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাল্য বিয়ের আয়োজন করার খবর পেয়ে দ্রুত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছামিউল ইসলামকে পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কন্যার মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রথমে কন্যার বয়স ১৮ বছর দাবি করে। মেয়ের বয়স প্রমাণে তার জন্মসনদ দেখতে চাইলে তারা জন্মসনদের একটি ফটোকপি দেখায়। পরবর্তীতে সেটি ভুয়া প্রমাণিত হয়।
ইউএনও মো.জিয়াউল হক মীর আরও বলেন, তাদের দেখানো জন্মসনদটির সত্যতা যাচাইয়ে চর হাজারী ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করলে জানা যায় ইউনিয়ন পরিষদের রেজিস্ট্রারের রেকর্ড অনুযায়ী মেয়ের বয়স ১৫ বছর ৪ মাস ২৫ দিন।
এরপর মেয়েকে বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন বলে স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিক কনের বাবাহে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে তাকে ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে। একই সাথে বরপক্ষকে ফোন করে বাল্য বিয়েতে আসতে বারণ করা হয়। পরে কনের মা ১৮ বছর আগে তার মেয়েকে বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ।
ইবাংলা /টিআর /২ ডিসেম্বর ২০২১