কামড়াকামড়ি করে একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেয়ে বিচ্ছেদ স্রেয়। সম্পর্কের শ্রদ্ধা-বিশ্বাস-অস্তিত্বের জায়গা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও যারা সেটা মানতে পারে না, তাদের চেয়ে হিপোক্রিট আর কোনো মানুষ নাই…
আর যারা বিচ্ছেদের পর ‘সে আমাকে ভালোবাসলো না কেনো’ এবং ‘সে ছেলে/মেয়ে প্রতারক ছিল, সে ভালো ছিল না’- এই দুই নৌকাতেই পা দিয়ে চলে তারা হলো সবচেয়ে বড় সুবিধাবাদী। যে কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিন, ভালোবাসবেন/বাসতেন/বাসেন নাকি গালাগাল করতেন/করেন/করবেন..? আপনি একদিকে ‘তাকে এখনো ভালোবাসেন’ টাইপ কথা বলে সিমপ্যাথি নিবেন।
আবার আরেকদিকে শখের বশে নিচের শ্রেণিতে নেমে দুনিয়া জুড়ে প্রাক্তনকে গালাগালি দিয়ে বেড়াবেন তা তো হয় না, তাই না? যে কোনো একটা করেন!হয় নিজের সম্মান রাখেন না হয় নিজের অ্যাটিটিউড! দুইটার যাঁতাকলে পড়ে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে লেইম হয়ে যাবেন না।
আবার, কোনো কারণে সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলে, প্রাক্তনের বন্ধুবান্ধবকে গালাগালি করার দুঃসাহসটাও বা আপনারা পান কোথায়? যেখানে আপনি আপনার সেই ভালোবাসার মানুষ অর্থাৎ প্রাক্তনকেই বোঝেন নাই, সেখানে তার বর্তমান বন্ধুবান্ধবকে আপনি কতটুকু চেনেন বা জানেন!
ঝামেলা হলো উপরের সবগুলো প্যারায় বর্ণিত ঘটনা গুলাকে আপনারা কালচার বানাচ্ছেন। কালচার আর বদ অভ্যাসের পার্থক্য নির্ণয় করতে শিখুন।নিজেদের যোগ্যতা এবং অযোগ্যতা বুঝতে শিখুন। প্রেম-বিচ্ছেদ সংক্রান্ত ফ্রাস্ট্রেশন আপনাদের এমনিই কমে যাবে! সুখী হোন, অন্যকে হতে দিন!
ইবাংলা / নাঈম/ ৬ ডিসেম্বর, ২০২১