তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ডা. মুরাদ হাসানকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, জামালপুর সরিষাবাড়ী উপজেলার ৪ আসনের এমপি, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সদ্য পদত্যাগকারী এবং জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। তাকে তার উদ্ধত পূর্ণ আচরণ ও সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এর আগে আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসানকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
ডা. মুরাদ হাসান জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুরাদ হাসানের বক্তব্য সম্বলিত একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
তার ওই বক্তব্যের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছিলেন নারী অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সে সময় প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিও উঠেছিল। এ ছাড়াও কিছুদিন ধরেই নানা বিষয়ে বিতর্কিত কথা বলে আলোচনা ও সমালোচনার শীর্ষে ছিলেন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান।
সবশেষ এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ফাঁস হওয়া ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।
ইবাংলা / নাঈম/ ৭ ডিসেম্বর, ২০২১