নাইজেরিয়ায় বাসে বন্দুকধারীদের অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর )সোকোটো রাজ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে। দেশটির পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
ওই বন্দুকধারীরা স্থানীয়ভাবে দস্যু বলে পরিচিত, যারা গত বছরও সহিংস হামলা চালিয়েছে গ্রামবাসীদের ওপর এবং দেশটির উত্তরাঞ্চলে একশর মতো শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছিল।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বোর্নো রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র সানুসি আবুবকর জানান, বাসটিতে ২৪ জন যাত্রী ছিলেন। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আহত অবস্থায় সাতজন পালিয়ে যান। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু স্থানীয় দুই বাসিন্দা জানান, যখন তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া বাসটি থেকে লোকজনকে উদ্ধার করছিলেন তখন বাসটিতে ভিড় ছিল এবং দগ্ধদের চেনা যাচ্ছিল না। তারা জানান, বাসটিতে নারী-শিশুসহ অন্তত ৩০ জনের মরদেহ দেখতে পান তারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, সাবোন বির্নি এবং বোর্নো রাজ্যের গিদান বাওয়া গ্রামের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সড়কে অতর্কিত হামলা চালায় বন্দুকধারীরা।
প্রতিবেশী দেশ মালি ও বারকিনা ফাসোর মতো নাইজেরিয়াও ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদা ও আইএসের নিয়মিত টার্গেটে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, দস্যুরা মোটর-বাইকে ঘুরে বেড়ায় এবং তারা বনে লুকিয়ে থাকে, যেখানে তারা প্রায়শই অপহৃতদের আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে।
২০১২ ও ২০১৩ সালের পর থেকে আফ্রিকার বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। এরপর থেকেই সেখানকার সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গ্রামগুলোতে অভিযান চালিয়ে অপহরণ, গরু চুরি ও ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া প্রায়ই পশ্চিমা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
ইবাংলা / টিপি/ ৮ ডিসেম্বর, ২০২১