‘বৈষম্য ঘোচাও, সাম্য বাড়াও, মানবাধিকারের সুরক্ষা দাও’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৫০ সাল থেকে ১০ ডিসেম্বর বিশ্বে মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এরপর ১৯৫০ সালে এ দিনটিকে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ। দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আজ মানববন্ধন, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে এক র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। এতে আরও বক্তব্য রাখবেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন- দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসিত হচ্ছে। মিয়ানমারে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তাসহ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের লক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে কমিশনকে আধুনিক করা ও কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোসহ সব ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশন দেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশ তিনবার জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করে সরকার।
ইবাংলা /টিপি/ ১০ডিসেম্বর ২০২১