প্রতিযোগিতা থেকে বাদ সৌদি ‘সুন্দরীরা’

ইবাংলা ডেস্ক

সুন্দরী প্রতিযোগিতার কথা মনে হলেই মাথায় আসে একদল নারী কিংবা পুরুষ কোনো মঞ্চে নিজেদের সর্বোচ্চ সৌন্দর্য্য তুলে ধরছেন এমন চিত্র। তবে সৌদি আরবের সুন্দরী প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

কারণ সৌদি আরবে প্রাণীদেরও সৌন্দর্য্যের মানদণ্ডে বিচার করা হয়। এ জন্য প্রতিবছর দেশটি কিং আব্দুল আজিজ উট উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেটা অনেকটা উটের ‘সুন্দরী প্রতিযোগিতার’ মতো বিষয়।

কারণ সেখানে হাজার হাজারো উটের মধ্য থেকে সুশোভিত ঠোঁট আর কুঁজের ওপর ভিত্তি করে বেছে নেওয়া হয় শিরোপাজয়ীকে। আর উটের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে মালিকরা কসমেটিক সার্জারি পর্যন্ত করে থাকেন!

বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোটক্স ইনজেকশন প্রয়োগ এবং কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমে চেহারায় কৃত্রিমভাবে পরিবর্তন আনার জন্য এ বছর সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে ৪০টি উটকে বাদ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

এপি জানায়, অনেক অংশগ্রহণকারীকে উটের ঠোঁট এবং নাক প্রসারিত করতে দেখা গেছে। উটের পেশীকে আরও বড় দেখানোর জন্য হরমোন এবং রাবার ব্যান্ড ব্যবহার করেছেন অনেকে। কেউ কেউ উটের মাথা এবং ঠোঁট বড় করার জন্য বোটক্স ইনজেকশন দিয়েছে বলে এপি জানিয়েছে।

তবে এসব কারচুপি ধরার জন্য আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছে সৌদি প্রশাসন। এ বছর কসমেটিক সার্জারির পরিবর্তন শনাক্ত করতে “বিশেষ এবং উন্নত” প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছেন এই প্রতিযোগিতার বিচারকরা।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতার শিরোপা উঠবে সবচেয়ে সুন্দর উটের ‘মাথায়’। পুরস্কার হিসেবে ওই উটের মালিক পাবেন ৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।

ইবাংলা / নাঈম/ ১০ ডিসেম্বর, ২০২১

প্রতিযোগিতাশিরোপাসুন্দরী
Comments (0)
Add Comment