গেল ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৮ হাজার ৮২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে একদিনে শনাক্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড। একদিনে দেশের ৫৬৫টি ল্যাবে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ ৩৫ হাজার ১০৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮ হাজার ৮২২ জনের শরীরের করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জনে। এর আগে, গেল ২৮ জুন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা ছিলো ৮ হাজার ৩৬৪ জন। এছাড়া গেল ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫০৩ জনে দাঁড়ালো।
বুধবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, করোনা দেশে শনাক্তের ৪৮০তম দিনে এসে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় দৈনিক করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৫.১৩ শতাংশ।
আর এ পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্তের হার ১৩.৮২ শতাংশ। এছাড়া গেল ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫০ জন। আর দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থতার সংখ্যা ৮ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন। সে হিসেবে দেশে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯.৩৮ শতাংশ।
এদিকে, গেল ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হওয়া ১১৫ জনের মধ্যে ৭২ জন পুরুষ এবং ৪৩ জন নারী। দেশে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া ১৪ হাজার ৫০৩ জনের মধ্যে ১০ হাজার ৩২৫ জন পুরুষ এবং ৪ হাজার ১৭৮ জন নারী।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী গেল ২৪ ঘন্টায় বিভাগওয়ারি মৃতের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে উপরে খুলনা বিভাগে। এ বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৩ জন, ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, রংপুর বিভাগে ১১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন, সিলেট বিভাগে ৩ এবং বরিশাল বিভাগে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু হয়েছে ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৯২ জনের। বিশ্বজুড়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ২৬ লাখ ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে। বিপরীতে সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছে ১৬ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর ১০ দিন করোনায় একজনের মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।