উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। ৩০ নভেম্বর হতে ১২ দিনে ১১ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেতুঁলিয়ায় ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রীতে উঠানামা করছে এই জেলায়।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দশদিন ধরে ২৭ থেকে ২৯ ডিগ্রীর ঘরে রয়েছে।
সরেজমিনে পঞ্চগড়ে ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারদিক। কুয়াশার কারণে হেডলাইট চলছে যানবাহন। সকাল নয়টা পর্যন্ত শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাতে হচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষদের। কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। সূর্য উঠলেই ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে যায়।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে কুয়াশা মিশ্রিত রোদ উঠলেও উত্তাপ ছড়ায় না। এতে গরম কাপড় ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। ভর দুপুরে শীতের পোষাক পরে মুড়িয়ে চলাফেরা করতে হয় পঞ্চগড়ে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তীব্রতা বেড়ে যায় কিন্তু বিকেল গড়াতেই তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের আমেজ শুরু হয় তখন শীতল বাতাস বয়ে যায় পঞ্চগড়ে। রাতভর থাকে শীতের তীব্রতা। রাতে কনকনে বাতাসের সাথে প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। আবার ভোররাত থেকে শুরু হয় কুয়াশা। নিম্ন আয়ের মানুষের দূর্ভোগও দিন দিন বাড়ছে ।
আবহাওয়া অফিস বলছে প্রতি মৌসুমে অন্যান্য জেলার তুলনায় এই জেলায় শীতের তীব্রতা বেশি। বর্তমানে যে শীত অনুভূত হচ্ছে তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রী তবে দিনের বেলায় সর্বোচ্চ ২৭ থেকে ২৯ ডিগ্রীতে উঠানামা করছে গত সাতদিন। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তরের হিমেল বাতাস বেশির ভাগ সময়ে বয়ে যায় পঞ্চগড় জেলায়। এই জেলায় শীত আসে আগেভাগে। আর শীত বিদায় নেয় দেরিতে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রিক্সাচালক পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকার নিমনগড়ের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে চারদিক। ঠান্ডার কারণে সকালে লোকজন কমে গেছে। এজন্য আমাদের আয় কমে গেছে।
তেতুঁলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগড় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ আবহাওয়া অফিসের বরাদ দিয়ে বলেছেন, তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ডিসেম্বর মাসে। মাঘ মাসের শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে।
ইবাংলা /টিআর /১১ ডিসেম্বর ২০২১