বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে গুম-খুন-দুর্নীতিতে সরকার নীরব ভূমিকা পালন করছে। একটা কথা মনে রাখা উচিত, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয়ে যায় না।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলো তো আপনাদের মতো চোখ বন্ধ করেনি। তারা জানে, বাংলাদেশে কী হচ্ছে। তারা জানে, ইলিয়াস আলী-চৌধুরী আলম-সাইফুল ইসলাম হিরু নেই কেন, এটার সঙ্গে কারা জড়িত।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসা নিশ্চিত এবং জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল বক্তব্যের প্রতিবাদে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দিবসটির উদ্দেশ্য হচ্ছে- কারও যেন মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয়। দেশে দেশে প্রত্যেকটি মানুষের মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্য জাতিসংঘ এ দিবসটি পালন করে। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী আইনী প্রক্রিয়ার কথা বলেন। যার হাতে ক্ষমতার বন্দুক, সেই বলে আইনি প্রক্রিয়ার কথা। যে বিবেকবান, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সে চায় নিরপেক্ষ আইনের চর্চা। যিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তিনি অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন না- এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি গণতান্ত্রিক সম্মেলন হয়ে গেল। সেখানে বাংলাদেশকে ডাকা হলো না। এরপর আমরা দেখলাম, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শুধু তারা নয়, সেখানে লেখাপড়া করার ক্ষেত্রে তাদের সন্তানদেরও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি মন্ত্রণালয়ও (অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কোনো সম্পত্তি থাকলে তা বাজেয়াপ্ত হবে। এজন্য দায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
ইবাংলা /টিআর /১১ নভেম্বর ২০২১