ইসলাম মানুষের পূতপবিত্র জীবনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইসলাম পরিচ্ছন্ন। সুতরাং তোমরা পরিচ্ছন্নতা অর্জন করো। নিশ্চয়ই জান্নাতে কেবল পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিই প্রবেশ করবে।’ (ফাইজুল কাদির, হাদিস : ৩০৬৫) অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর দ্বিনের ভিত্তি স্থাপিত।’ (মাউসুআতু আতরাফিল হাদিস আন-নাবাবি, পৃষ্ঠা. ২৯৪)
গোসল শরীর ও মন চাঙ্গা করে। শরীর, স্বাস্থ্য ও মন ঠিক রাখতে গোসলের ভূমিকা অপরিসীম। গোসল শরিয়তের আদেশও বটে। তাই কোন কোন সময় গোসল ফরজ হয় এবং কখন গোসল করা আবশ্যক— তা জেনে নিন।
উত্তেজনার সঙ্গে বীর্যপাত হওয়া: জাগ্রত বা ঘুমন্ত অবস্থায় উত্তেজনার সঙ্গে বীর্যপাত হওয়া। ঘুমন্ত অবস্থায় উত্তেজনা অনুভব না হলেও গোসল ফরজ। কারণ ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে— মানুষ অনেক সময় টের পায় না। তাই কোনো ব্যক্তি ঘুম থেকে ওঠার পর যদি তার কাপড়ে নাপাকের চিহ্ন দেখে, তাহলে তার স্বপ্নদোষ বা বীর্যপাতের কথা স্মরণ থাকুক বা না থাকুক— সর্বাবস্থায় গোসল ফরজ হবে। (হিদায়া : ১/৪৫, আন-নুতাফ ফিল ফাতাওয়া, পৃষ্ঠা : ২৯)
যৌন মিলন ও সহবাস করা: সহবাস ও যৌন মিলন করলে গোসল ফরজ হয়। বীর্যপাত না হলেও গোসল করতে হবে। (বুখারি, হাদিস : ২৯১; মুসলিম, হাদিস : ৩৪৩) ঋতুস্রাব বা সন্তান প্রসবোত্তর স্রাবের পর: প্রতি মাসে নারীদের বিশেষ একটা সময়ে ঋতুস্রাব হয়। সেটি বন্ধ হওয়ার পর গোসল করা ফরজ। এছাড়া নেফাস (সন্তান প্রসবোত্তর স্রাব) বন্ধ হওয়ার পরও গোসল করা ফরজ। (রাদ্দুল মুহতার : ১/১৬৫)
ইবাংলা / এইচ/১২ ডিসেম্বর ২০২১